কিশোর নাগ-এগরা
খাদিকুল বিস্ফোরণে ১১ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যুর রেশ এখনও কাটেনি। তার মধ্যেই ফের বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল এগরায়। এবার ঘটনাস্থল এগরা ১ ব্লকের বরিদা পঞ্চায়েতের বর্তনা গ্রামে। নিজের জায়গায় বেড়া করার সময় টিনের কৌটায় হাত লেগে ঘটে বিস্ফোরণ। কৌটার মধ্যে মজুত থাকা বোমা বিস্ফোরণের হাত উড়ে যায় বছর পঞ্চান্নর গরিব দিনমজুর সেখ রাইজুদ্দিনের।
স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবরের বিবরণে জানা গেছে, বর্তনা গ্রামের বাসিন্দা সেখ রাইজুদ্দিন রবিবার সকালে নিজের জায়গায় বাঁশের বেড়া দিচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০ টা নাগাদ হঠাৎই তাঁর হাতে একটা কৌটা লাগার সঙ্গে সঙ্গেই প্রবল শব্দে বোমা বিস্ফোরণ হয়। মুহূর্তের মধ্যেই তার হাত উড়ে যায়। চোখমুখ থেকে গলগল করে রক্ত পড়তে থাকে। চারদিকে দেহের মাংস্পিন্ড ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পড়ে। স্থানীয়রা বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে ঘটনাস্থলে তড়িঘড়ি ছুটে এসে গুরুতর জখম ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, অবস্থার অবনতির কারণে তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়েছে। খবর পেয়ে বেলার দিকে ঘটনাস্থলে সরেজমিনে তদন্তে আসেন এগরার এসডিপিও, এগরা থানার আইসি সহ পুলিশবাহিনী। কিন্তু কী কারণে এই ঘটনা তা নিয়েই পুলিশের তরফে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে এই বিষয়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দা সালমা বিবি জানিয়েছেন,‘‘ বেড়া করার সময় হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণ হয়। একটি কৌটোর মধ্যে থাকা বোমা থেকে এই বিস্ফোরণ বলে মনে করা হচ্ছে। আগে এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটেনি। তবে এদিন যেভাবে বিস্ফোরণের শব্দ খুবই তীব্র ছিল তাতে মনে হচ্ছে এটি শক্তিশালী বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা’’।
এদিকে এলাকার বাসিন্দারা এদিন এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় থেকেই এলাকায় সন্ত্রাস তৈরির চেষ্টা করেছিল শাসকদলের আশ্রিত দুষ্কৃতী বাহিনী। তাদেরই ফেলে যাওয়া কৌটো বোমা থেকে বিস্ফোরণের এই ঘটানা। বরিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা সিদ্ধেশ্বর বেরা এই অভিযোগ মানতে চাননি। এই ঘটনার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক যোগ নেই বলে তাঁর দাবি।
Comments :0