এদিন সুজন চক্রবর্তী বলেন, গর্বের বিশ্বভারতী বারেবারে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসছে। এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়। এর জন্য দায়ী বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্যের ভুল পদক্ষেপ। তিনি সরাসরি মোদী সরকারের ইশারায় চলছেন। তথাগত রায়ের মতো বিজেপি নেতাদের সুরে কথা বলছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য। অমর্ত্য সেনের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ছাত্র ছাত্রী এবং অশিক্ষক কর্মচারীদের উপরেও আক্রমণ নামিয়ে আনছেন তিনি। নরেন্দ্র মোদীর পছন্দের মানুষ নন, তাই অমর্ত্য সেনের উপর এই ধরণের কদর্য আক্রমণ নামিয়ে আনা হচ্ছে।
চক্রবর্তী আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আজ আবার ধরা পড়ে গিয়েছেন। তিনি পরিষ্কার বললেন, বাজেটের সময় ধ্বস যেভাবে নামছে তাতে সরকারটাই পড়ে যাওয়ার কথা। সরকারের পতন ঠেকাতে ব্যাবসায়ীদের বাছাই করে ১০ হাজার-২০ হাজার কোটি টাকা ‘ইনভেস্টমেন্ট’-এর বন্দোবস্ত করা হয়েছে। অর্থাৎ এই ব্যবসায়ীদের সবার নাম ঠিকানা মমতা ব্যানার্জির জানা। কিন্তু তাও তিনি সেই তথ্য সামনে আনবেন না। কেন আনবেন না? তিনি কি মোদী কিংবা আদানির ভয়ে চুপ করে থাকছেন, নাকি তাঁদের রক্ষা করার দায়বদ্ধতা থেকেই চুপ থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি? আসলে মোদী কিংবা আদানির বিপদ হোক, এমন কোনও কাজ মমতা ব্যানার্জি করবেন না।
আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী সিবিআই তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুজন চক্রবর্তী বলেন, এই অভিযোগ বামপন্থীরা দীর্ঘদিন ধরে করে আসছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির বারোটা আগেই বাজিয়ে দেওয়া হয়েছে। সিআইডিকে মানুষ আগেই ভরসা করত না। এখন মোদীজীর পাল্লায় পড়ে সিবিআই’র বিশ্বাসযোগ্যতাও তলানিতে। এই কারণেই আদালতের নজরদারিতে তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছেন বামপন্থীরা। তদন্তকারীরা রাজনৈতিক নেতাদের কথায় চলতে থাকলে স্বাভাবিক ভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যহত হয়।
Comments :0