নির্দেশিকা অনুযায়ী শুধুমাত্র বর্তমান ছাত্ররাই পুজোর ব্যবস্থাপনায় অংশ নিতে পারবে। ডিপার্টমেন্ট সমূহ, ইউসিএসি এবং ইউসিএসটিএ’র মাধ্যমেই ছাত্ররা এই পুজোর ব্যবস্থাপনায় অংশ নেবে। খাওয়াদাওয়া ও প্রসাদ বিতরণের কাজ করবে কর্তৃপক্ষ নিয়োজিত টেন্ডার প্রাপ্ত এজেন্সি। প্রতিমা, দশকর্মা সরঞ্জাম আনার ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয়ভাবে নিযুক্ত থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা।
উল্লেখ্য নির্দেশিকা অনুযায়ী সরস্বতী পুজোয় কোন ক্যাম্পাসে কোন ছাত্র সংগঠন বা গোষ্ঠীর উদ্যোগ বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিগত কয়েক বছর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী দ্বন্দ সামনে উঠে এসেছে। অতীতেত কথা মাথায় রেখেই কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকেই।
এসএফআই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় আঞ্চলিক কমিটির সম্পাদিকা সম্পৃক্তা বোস এই বিষয় জানিয়েছেন, ক্যাম্পাসে সরস্বতী পুজোর নামে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অছাত্র বহিরাগতরা যে অসভ্যতা বিগত বছরগুলোয় চালিয়েছে, তার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ইতিমধ্যেই কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএমসিপি’র পেজ থেকে সরস্বতী পুজোর উদ্যোগ সংক্রান্ত পোস্টার পোস্ট হয়েছ। এই বিষয়ে আমরা এসএফআই’র তরফ থেকে কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি। বিগত বছরে সরস্বতী পুজোকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ক্যাম্পাসের সংস্কৃতি ও শৃঙ্খলা নষ্ট করেছে। আমরা এই বছর সরস্বতী পুজোয় ক্যাম্পাস পাহারায় থাকবো, যাতে গত বছরের মতো ক্যাম্পাসের সুস্থ পরিবেশ নষ্ট না হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের স্পষ্ট দাবি, নোটিশে যে গাইডলাইনের কথা বলা হয়েছে, তা যেন দৃঢ়ভাবে মেনে চলা হয় এবং এই গাইডলাইন ভাঙা হলে তার বিরুদ্ধে যেন যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
Comments :0