উৎসশ্রী বদলী পোর্টাল মারফত শিক্ষক শিক্ষিকা দের বদলী নিয়ে বিভিন্ন মামলা হাইকোর্টে দাখিল হয়েছিল। বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর নতুন এই নিয়ম তৈরি করতে বাধ্য হয়েছে বলে দাবি শিক্ষক মহলের একাংশের।
এই উৎসশ্রী পোর্টালে আবেদনের মাধ্যমে বহু শিক্ষক শিক্ষিকা নিজেদের ইচ্ছা মতো জায়গায় বদলি নিয়ে নিয়েছেন। এই বদলির কারণে বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক স্কুল গুলির শিক্ষক-শিক্ষিকা সংখ্যা কমতে থাকে। পড়ুয়া অনুপাতে শিক্ষকের সংখ্যা কমে যায়। যেমন হরিপালের একটি গ্রামীণ স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা ১৫০ জন। কিন্তু সেখানে শিক্ষক মাত্র তিনজন। এই তিনজনকেই মিড-ডে-মিল থেকে শুরু করে ক্লাস নেওয়া সব দিক দেখতে হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রধান শিক্ষক বলেন, ‘‘গ্রামের স্কুল। ছোট স্কুল। গ্রামের সব ছেলে মেয়ে আমাদের স্কুলে পড়ে। সরকারের কাছে বার বার আবেদন করেছি শিক্ষক দেওয়ার জন্য কিন্তু কোন কাজ হয়নি।’‘
রাজ্য শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে নতুন যেই নিয়ম তৈরি করা হয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে, যেই সব স্কুলে ছাত্র শিক্ষক অনুপাত শোচনীয়, সেই সব স্কুলে অন্য স্কুলের ‘সারপ্লাস’ টিচারদের বদলি করা হবে। তবে একই জেলার মধ্যে এই বদলি কার্যকরী হবে।
এই নির্দেশ আসার পর শিক্ষক মহলের একাংশ জানিয়েছেন কলকাতায় যেখানে সব চেয়ে বেশি সারপ্লাস শিক্ষক শিক্ষিকা রয়েছেন সেখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলায় এই শিক্ষক শিক্ষিকাগণকে পাঠানোর সুযোগ থাকছে না। এডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রান্সফারের নিয়মে অনৈতিক ট্রান্সফার হওয়ার যথেষ্ট আশঙ্কা রয়ে যাচ্ছে। এছাড়াও এই নতুন নিয়মের ফলে রাজ্যের প্রান্তিক স্কুল গুলির কোন লাভ হবে কি না তার কোন উত্তর দিতে পাচ্ছেন না অনেকেই।
শিক্ষক না থাকার ফলে বহু সরকারি স্কুল ইতিমধ্যে নিজেদের মতো বিঞ্জপ্তি জারি করে শিক্ষক নিয়োগ করছে। সেই ক্ষেত্রে যারা চাকরি পাচ্ছেন তারা স্থায়ী নয়। মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা বেতনে তাদের চাকরি করতে হচ্ছে।
Comments :0