কিন্তু কেন হঠাৎ করে মুখ্যমন্ত্রী এক সময়ের ছায়া সঙ্গীর প্রতি এতোটা সদয় হয়ে উঠলেন? সূত্রের খবর এদিন বিধানসভায় বক্তব্য রাখার সময় শুভেন্দু অধিকারি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল মিথ্যা ভাষণ দিয়েছেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাসের কথা তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেননি।’’ এর পরেই বিধানসভায় মিথ্যা যুদ্ধ শুরু হয় বিজেপি তৃণমূলের মধ্যে।
এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারির সাথে জিট্টি ভাইয়ের ছবি দেখিয়ে বিরোধী দলনেতাকে নিশানা করেন তিনি। কিন্তু সেই ঝাঁজ ছিল অনেকটাই কম।
বিধানসভা থেকে বেরিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে বিরোধী দলনেতা দাবি করেন তাঁকে এদিন বিধানসভায় বলতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে দলের বিধায়ক এবং মন্ত্রীরা বক্তব্যের মাঝে বাঁধা দিয়েছে বার বার।
উল্লেখ্য এদিন বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা যেই যেই বিষয় তুলে ছিলেন সেই বিষব গুলি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে সরব হয়েছেন বামপন্থীরা। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছেন, গ্রেপ্তার হয়েছেন বামপন্থী নেতা কর্মীরা।
এদিন বিধানসভায় শুভেন্দু অধিকারি প্রশ্ন তোলে হিঙ্গলগঞ্জের সভায় মিড-ডে-মিল এবং এসি এসটি উন্নয়নের খাতের টাকা কেন ব্যায় করা হয়। বিরোধী দলনেতা যখন এই প্রশ্ন বিধানসভায় তুলছেন তার অনেক আগে থেকে এই বিষয় সরব হয়েছেন সিপিআই(এম) নেতৃত্ব।
সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘একমাত্র বিরোধী বিধায়ক জেলে। বিরোধী আসনে বসে বিজেপি, তাদেরও প্রশ্ন তুলতে দেবে না সরকার। সার্কাস চলছে রাজ্য বিধানসভায়। সরকার যা মনে করছে তাই করছে।’’
সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতার মান অভিমান হলেও তা বেশি দিন স্থায়ী হবে না। তার কারণ বুধবার তথ্য কমিশনার নিয়োগ নিয়ে বিধানসভায় মুখোমুখি বৈঠকে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা।
বিধানসভার ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিজেপি’র মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য্যের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয় যা বলার শুভেন্দু অধিকারি বলবেন।’’
আক্রমণ পাল্টা আক্রমণ হলো। কিন্তু বিরোধী দলনেতার হয়ে ক্ষমা চাওয়া। পরে সাসপেন্সনের দাবি তুলে নেওয়া সব কিছু নিয়ে একটা কৌতুহল থেকেই যাচ্ছে।
Comments :0