শিলিগুড়ি সহ উত্তরের বিভিন্ন জেলায় বুধবার সন্ধ্যায় বজ্র বিদ্যুৎ সহ শিলাবৃষ্টি হয়েছে। সাথে দমকা হাওয়া চলেছে। শিলিগুড়ি মহকুমা অঞ্চলেও বৃষ্টি হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই শিলিগুড়ি সহ সংলগ্ন এলাকায় ভালোই গরম অনুভূত হচ্ছিলো। রীতিমতো ফ্যান চলছিলো ঘরে ঘরে। পাশাপাশি দিনের বেলাতে রোদের প্রচন্ড তেজ ছিলো। পাশাপাশি বৃষ্টি না হওয়ায় বাতাসে ধূলো বালির মাত্রাও বৃদ্ধি পেয়েছিলো। দার্জিলিঙ পার্বত্য অঞ্চলেরও আবহাওয়াও অনেকটাই গরম ছিলো। কিন্তু এদিনের অল্প সময়ের মুসলধারে বৃষ্টিতে আবহাওয়ার বেশ অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। অসময়ে এতোটা গরমে মানুষের মধ্যে জ্বর, সর্দি, কাশি সহ নানা ভাইরাস ঘটিত রোগব্যাধি দেখা যাচ্ছিলো। বৃষ্টিতে মাটি ভিজেছে। ফলে ধূলোবালির পরিমানও কমেছে। বৃষ্টি উপভোগ করেছে শহরবাসী। তবে এদিন দুপুর থেকেই আকাশের মুখ খানিকটা ভার ছিলো। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টি হওয়ার আবহাওয়ার আগাম পূর্বাভাষ ছিলোই। আর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামতেই জোর বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়। চারিদিক কালো হয়ে অন্ধকার নেমে আসে। অনেকটাই ঠান্ডা হয়েছে পরিবেশ। আম, লিচু সহ মরশুমী ফসল চাষের ক্ষেত্রেও বৃষ্টি চাইছিলো কৃষিজীবি মানুষ। এদিনের বৃষ্টিতে সকলেই কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন।
বুধবার সকাল থেকে পরিস্কার ঝকঝকে আবহাওয়া ছিল। বেলা ১২ টা পার হতেই ডুয়ার্স ও পাশের পাহাড়ি এলাকায় ঘনিয়ে আসে কালো মেঘের ঘনঘটা। আড়াইটা বাজতেই কালো মেঘে সন্ধ্যার অবস্থা তৈরি করে। শুরু হয় বৃষ্টি। আধ ঘন্টা যেতে না যেতেই শুরু হয় শিলাবৃষ্টি। প্রথমে ছোট ও পরে ৫০-৬০ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি শুরু হয়। শিলের চাদরে ঢাকা পড়ে সর্বত্র। বিক্ষিপ্ত ভাবে এদিক ওদিক শুরু হয় ঝড়। বিকেল সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত চলে বৃষ্টি। চারিদিকে শুধু সাদা শিল। এক থেকে দেড় ইঞ্চির স্তর পড়ে যায়। বন্ধ হয়ে যায় রাস্তায় গাড়ি চলাচল। সেই সাথে বয়ে আসে ঠান্ডা। রাত পোহালেই চৈত্র শুরু। তার প্রাক্কালে বৈকালিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে বয়ে আনলো ঠান্ডার আমেজ। সাদা বরফের চাদরে ঢাকা পড়ল রাস্তা, মাঠ ও চা বাগানের মাটি। এতেই খানিকটা খুশির পরশ দেখা দিল চা বলয়ে।
Comments :0