ধর্মতলা থেকে শুরু হল বামফ্রন্টের প্রতিবাদ মিছিল। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনের পর যে ভাবে বিজেপি বিরোধী ও বামপন্থীদের ওপর লাগাতার আক্রমণ সন্ত্রাস চালাচ্ছে তার বিরুদ্ধে বৃহষ্পতিবার পথে নামল বামফ্রন্ট। একই সঙ্গে পশ্চিমবাংলায় বিজেপির কায়দায় বিরোধীদের কন্ঠরোধ করছে তৃণমূল সরকার তার বিরুদ্ধেও এই মিছিল।
ত্রিপুরায় ২ মার্চ নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকে চলছে আক্রমণ। পাঁচ বছর আগের তুলনায় ভোট এবং আসন, দুই=ই কমেছে বিজেপি’র। বিরোধী ভোটে বিভাজনের ফয়দা তুলে আসীন হয়েছে সরকারে। কিন্তু সারা রাজ্যে বিরোধী, বিশেষ করে বামফ্রন্টের কর্মী সমর্থকদের ওপর লাগাতার হামলা চলছেই। সিপিআই(এম) পলিট ব্যুরো সারা দেশে প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে। কলকাতায় বৃহস্পতিবার প্রতিবাদ মিছিল বিজেপি’র বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ ঝরে পড়েছে।
মিছিলের ঠিক আগে সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে বিমান বসু বলেন, অন্যায় চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি। নিরীহ মানুষ আক্রান্ত। বহু সাধারণ মানুষের ওপর দুষ্কৃতীরা নির্মম হামলা চালাচ্ছে। আমরা তার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই মিছিল ত্রিপুরার পাশে থাকার মিছিল।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। যোগ দেন বামফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ। এ রাজ্যে তৃণমূল সরকারের স্বৈরাচারের প্রতিবাদেও সোচ্চার হয়েছে মিছিল। বিরোধী বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকীর জেল কেন, প্রশ্ন ছুঁড়েছে মিছিল। রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধ করতে বিরোধীদের ওপর বারবার পুলিশ লেলিয়ে দেওয়া কেন, মমতা ব্যানার্জির সরকারের উদ্দেশ্যে সেই প্রশ্নও তুলেছে মিছিল।
১০ মার্চ সরকারী কর্মচারী এবং শিক্ষকদের ডাকা ধর্মঘট প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা বিমান বসুকে। তিনি বলেন, ’’বকেয়া ডিএ সহ নানা দাবি নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডাকা ধর্মঘটকে আগেই সমর্থন জানিয়েছে বামফ্রন্ট। এই ধর্মঘট হবেই। কর্মমেয়াদে ছেদ ঘোষণা করতে পারে না রাজ্য সরকার। ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল সরকার। তবু সরকারি কর্মী, শিক্ষকদের ধর্মঘট সফল হবেই। কেউ ভয় পাচ্ছেন না।’’
Comments :0