মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েও চাকরি প্রার্থীরা দীর্ঘ চার বছর ধরে আন্দোলন করছেন স্বচ্ছ নিয়োগের দাবিতে। সরকার পক্ষ থেকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে গেলেও আজও নিয়োগ হননি বহু শিক্ষক শিক্ষিকারা। সষ্ঠ এসএলএসটি নিয়োগের সময় মাদ্রাসা শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন মমতা ব্যানার্জিী নিজেই। তার পরেও বিয়োগ প্রক্রিয়ায় চূড়ান্ত দুর্নীতির অভিযোগ। ফলে যোগ্যতা থাকলেও আজ বঞ্চিত পরীক্ষা দিয়ে পাশ করা মাদ্রাসা শিক্ষকরা।
[ad}
গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন মাদ্রাসায় নিয়োগ করতে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি এখন পর্যন্ত নিয়োগ হয়নি।। ১৪ অক্টোবর সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও মাদ্রসা মন্ত্রী মহম্মদ গোলাম রাব্বানী আশ্বাস দিয়েছিলেন দ্রুত নিয়োগ হবে মাদ্রাসা। কিন্তু সেই নিয়োগ না হওয়ায় মঙ্গলবার ২১ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন মাদ্রাসা শিক্ষা মন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির বাড়ি কালিঘাট অভিযানের ডাক দিয়েছিল চাকরিপ্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি অবধি অভিযান তো দুর উল্টে তাদের মারধর করে সেখান থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায় লালবাজারে।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন পাশ প্রার্থী মঞ্চের সভাপতি মনিরুল ইসলাম বলেন ‘২০১৩‘র বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ৩১৮৩ শূন্যপদের মধ্যে ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট ছাড়াই নিয়োগ করেছে মাত্র ১৫০০। হাইকোর্টের একাধিক নির্দেশ রয়েছে নিয়োগের। কিন্তু বারংবার প্রতিশ্রুতি সত্বেও নিয়োগ অধরা’।
মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক নবিন চন্দ্রবেরা বলেন ‘দীর্ঘ ১০ বছর ধরে শিক্ষক নিয়োগ না করে মাদ্রাসা শিক্ষা কে ধ্বংস করতে চাইছে বর্তমান সরকার আমরা হিন্দু মুসলিম সকলে মিলে মাদ্রাসা শিক্ষাকে বাঁচাবো’।
মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন ২০১৩ সালে বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ ছিলো ৩১৮৩। সেই সংখ্যা ২০১৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ৫০০০ হওয়ার কথা। কিন্তু ২০১৮ সালে প্যানেল লিস্ট প্রকাশ না করেই নিয়োগ করে গেছে তৃণমূল সরকার। আন্দোলকারীদের অভিযোগ কমিশন কোনও বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই নিয়োগ করে গেছে। আন্দোলনকারীরা জানায় পরীক্ষায় বসেনি তাদের ও কমিশন নিয়োগ করেছে এমন দুজন শিক্ষক ধরা পড়ে ২ বছর বেতনও নিয়েছেন। এছাড়াও ১৫০০ জন শিক্ষককে বেআইনি ভাবে নিয়োগ করা হয়েছে বলে কমিশনের বিরুদ্ধে আভিযোগ।
Comments :0