Parks in Siliguri

রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, বেহালদশা শিলিগুড়ির বিভিন্ন পার্ক

জেলা


রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে শিলিগুড়ি শহরের বিভিন্ন পার্কের অবস্থা বেহাল হয়ে পড়েছে। সকাল, বিকেল, সন্ধ্যায় ছোট ছোট বাচ্চারা অভিভাবকদের সাথে যে সমস্ত পার্কে যাচ্ছে দিনের পর দিন সেই সমস্ত পার্কগুলির সংষ্কার না হওয়ায় সমস্যায় পড়তে হচ্ছে শহরবাসীদের। শুধু তাই নয়, শহরের বেশীরভাগ পার্কগুলিকে ঘিরে নেশার আসর বসারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, সন্ধ্যা নামতেই শহরের পার্কগুলির অন্ধকার কোনগুলিকে ঘিরে, গাছের নীচে নেশার আসর বসে। শুরু হয় আড্ডা। তাতে পার্কগুলিতে খেলতে বেড়াতে যাওয়া শিশু সহ অভিভাবকদের অস্বস্তি বাড়ছে। পার্কের পরিবেশও নষ্ট হচ্ছে। নেশার আসরের আড্ডা বন্ধে পৌর প্রশাসনের কোন হেলদোল নেই। 
প্রসঙ্গত শিলিগুড়ি শহরে ছোট বড় মিলিয়ে ৩২টি পার্ক রয়েছে। এছাড়াও নতুন করে আরো ১০টি পার্ক বানানোর পরিকল্পনা নিয়ে পৌর কর্পোরেশনের বর্তমান বোর্ড। শিশুদের খেলাধূলার জন্য শহরের পুরোনো পার্কগুলি যখন সঠিক নজরদারির অভাবে ধুঁকছে, সেই সময়ে কর্পোরেশনের বর্তমান বোর্ডের নতুন আরো পার্ক তৈরীর পরিকল্পনা নিয়ে শহরবাসীদের মধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। শিলিগুড়ি পৌর কর্পোরেশনের ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইন্ডোর স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায় এলাকাবাসীদের স্বার্থে একটি পার্ক তৈরীর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিলো কর্পোরেশনের বিগত বাম বোর্ডের সময়ে অশোক ভট্টাচার্যের মেয়র থাকাকালীন সময়ে। কাজও শুরু হয়েছিলো। কিন্তু পরবর্তী এই সময়ে পার্কটি তৈরীর কোন কাজ করা হয়নি। বারংবার বলা স্বত্ত্বেও পার্কটির কাজ শেষ করার কোন উদ্যোগ নেয়নি বর্তমান পৌর বোর্ড।  
কর্পোরেশনের মাসিক সভাগুলোতে শহরের বিভিন্ন পার্কের রক্ষণাবেক্ষণ বিশেষ করে নেশার আসর বসানোর বিষয় তুলে একাধিকবার সোচ্চার হয়েছেন বামপন্থী কাউন্সিলাররা। বামপন্থী কাউন্সিলার শরদিন্দু চক্রবর্তী অভিযোগ করেন, দেশবন্ধুপাড়া সহ শহরের বিভিন্ন পার্কে নেশার আসর বসে। পার্কগুলি অসামাজিক কাজের আখড়া হয়ে উঠেছে। নেশার দ্রব্য ব্যবহার করছে। প্রশাসন নির্বিকার। বাসিন্দারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। যে উদ্দেশ্যে পার্কগুলি তৈরী করা হয়েছিলো সেই উদ্দেশ্য ব্যর্থ হচ্ছে। কর্পোরেশনের বর্তমান বোর্ডও উদাসীন। তারা নতুন পার্ক তৈরীর প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। মুখে বলছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করছে না। বাস্তবে পুরোনো পার্কগুলিও অবহেলিত হয়ে রয়েছে। বামপন্থী কাউন্সিলারের অভিযোগকে এড়িয়ে গিয়ে এবিষয়ে কর্পোরেশনের ডেপুটি মেয়রের বক্তব্য পুলিশের কাছে অভিযোগ না করে পৌর কর্পোরেশনের মাসিক অধিবেশনে বলে কি হবে। তাঁর দাবি শহরের কোন পার্কে নেশার আসর বসে না। 
শুধু ছোট শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরাই নয়, অনেক বয়ষ্ক মানুষজনও শহরের বিভিন্ন পার্কে সন্ধ্যায় হাটা চলা করে। সময় কাটাতে পার্কে গিয়ে একটু বসেন। কিন্তু বেশীরভাগ পার্কগুলিতেই সন্ধ্যা নামতেই অচেনা যুবকেরা ভিড় জমায়। নেশাগ্রস্তদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে শিশু অভিভাবকদের পাশাপাশি বয়ষ্কদের অনেকেই পার্কে যাওয়া থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন।
 

Comments :0

Login to leave a comment