শনিবার আইএসএফ’র (ISF)প্রতিষ্ঠা দিবসে ধর্মতলায় জনসভা রণক্ষেত্রের চেহারা নিল। আইএসএফ কর্মীদের জমায়েতে পুলিশ লাঠি চার্জ করে, কাঁদানে গ্যাসও ছোঁড়ে। টেনে হিঁচড়ে পুলিশের ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় আইএসএফ’র বিধায়ক নৌসাদ সিদ্দিকি সহ দলের কর্মীদের।
পুলিশে(Police) লাঠি চালালেও আইএসএফ কর্মীরা হটে যাননি। পুলিশের বেধড়ক মারেে আহত হন অনেকেই। বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী অসুস্থও হয়ে পড়েন। প্রতিষ্ঠা দিবসে আসা আইএসএফ কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে ইট ছুঁড়তেও দেখা যায় পুলিশকে। এই ঘটনার পরে থমথমে হয়ে পড়ে ধর্মতলা চত্বর। চারিদিকে শুধু ইট, ছোঁড়া চটি-জুতো ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
ঘটনার সূত্রপাত এদিন ভাঙড়ে। আইএসএফ’র অভিযোগ, এদিন দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে ভাঙড়ের হাতিশালা মোড়ে পতাকা লাগাচ্ছিলেন দলের কর্মীরা। সেই সময় তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলামের নেতৃত্বে স্থানীয় তাঁদের ওপর হামলা হয়। আইএসএফ কর্মীদের ওপর তৃণমূলের এই আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (MD Salim)।
ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন ,‘‘আইএসএফ একটি রাজনৈতিক দল। তাঁদের সভায় তাঁদের কর্মীদের যাওয়ার অধিকার আছে। কিন্তু তৃণমূলের হামলার অধিকার নেই।’’ তিনি আরও বলেন যে আরাবুল তো তৃণমূলের সম্পদ। একটি তোলাবাজ, দুষ্কৃতী। সে আক্রমণ চালাচ্ছে ,পুলিশ দেখছে। রাজ্যের পুলিশ অপদার্থ।’’
আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique) জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে কর্মীরা যখন সমাবেশে যাচ্ছিলেন তখন পতাকা লাগাতে গেলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হামলা চালানো হয়। বোমাবাজির অভিযোগও তুলেছেন তিনি। পুলিশের সামনে গোটা ঘটনা ঘটলেও পুলিশ কিছুই করেনি বলে অভিযোগ করেন। তারই রেশ টেনে সভার পরে ধর্মতলা মোড় অবরোধ করেন আইএসএফ কর্মীরা। কিন্তু কিছু পরেই তাদের ওপর চড়াও হয় মমতা ব্যানার্জির পুলিশ।
Comments :0