KALYANI GANG RAPE

ধর্ষকরা কতটা বেপরোয়া ফের দেখালো কল্যাণী

জেলা

কাঁচড়াপাড়া-কল্যাণী রেলব্রিজের নিচে তদন্তে পুলিশ।

ভোরবেলা পথ আটকে স্বামী মারধর করে দুষ্কৃতীরা। মহিলাকে টেনে নিয়ে যায় ব্রিজের নিচে। চলে পরপর ধর্ষণ।
কল্যাণীর ধর্ষণকাণ্ডে এমনই বেপরোয়া ছিল দু্ষ্কৃতীরা। বুধবার ভোরে স্বামীর সঙ্গে বাসায় ফিরছিলেন ওই মহিলা। কল্যাণী-বারাকপুর এক্সপ্রেসওয়ের কাঁচড়াপাড়া-কল্যাণী রেলব্রিজের নিচে কয়েকজন দুষ্কৃতী পথ আটকায়। কাঁচড়াপাড়া স্টেশন ধরে কল্যাণীর দিকে ফিরছিল তখন ওই দম্পতি। স্বামীকে মারধর করে। ব্রিজের নিচে ওই মহিলাকে টেনে নিয়ে এসে পরপর ধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা।
ঘটনাস্থল থেকে কোনোরকমে ছাড়া পেয়ে ওই মহিলা এবং তাঁর স্বামী কল্যাণী থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন।   
নির্যাতিতার করা অভিযোগের ভিত্তিতে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রত্যেকে উত্তর ২৪ পরগনার কাঁচড়াপাড়ার বাসিন্দা।  
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত মোট ৮। এরা প্রত্যেকেই কাঁচড়াপাড়ার আমবাগান ফুলিয়া রোড এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ, এরা অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। মদ, গাঁজার আড্ডায় নিয়মিত যাতায়াত। জুয়া-সাট্টাও খেলে। পুলিশ অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেপ্তার করেছে।
অভিযুক্তদের মধ্যে চারজনের নাম হলো  অজয় দেবনাথ, সোনু সাউ, রাজা ঘোষ ও কৃষ্ণ প্রসাদ। ধৃতদের এদিনই আদালতে পেশ করা হয়েছে।  
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে যে নির্যাতিতা গয়েশপুর পৌরসভা এলাকায় ভাড়া থাকেন।   
আর জি কর কাণ্ড নিয়ে গোটা রাজ্য যখন উত্তাল তখন জয়নগর, জয়গাঁ, কল্যাণীর মতো ঘটনা ফের প্রমাণ করে দিচ্ছে রাজ্যের নারী নিরাপত্তার বেহাল দশা। 
বিভিন্ন ঘটনাতেই দেখা গিয়েছে যে তৃণমূল কংগ্রেস এবং মুখ্যমন্ত্রী নিজে বারবার ধর্ষণের ঘটনা ছোট করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। বামপন্থীরা বলেছেন, সরকারের মনোভাবে অপরাধীরা প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে। আর জি কর কাণ্ডের পরও রাজ্যে পরপর ধর্ষণ এবং ধর্ষণ করে হত্যা হয়ে চলেছে। কল্যাণীর ঘটনা এই মারাত্মক ধারায় আরেকটি সংযোজন।

Comments :0

Login to leave a comment