এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে আগামীস দুই সপ্তাহ রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রের বেহাল দশা, কলেজে ছাত্র সংসদ নির্বাচন এবং আর জি করের বিচারের দাবিত রাজ্য জুড়ে তারা বিভিন্ন কর্মসূচি নেবে। এর পাশাপাশি ২ এপ্রিল ছাত্র নেতা সুদীপ্ত গুপ্ত’র প্রয়ান দিবস উপলক্ষে রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে এসএফআই সহ চারটি বাম ছাত্র সংগঠন। এসএফআই রাজ্য সম্পাদক দেবাঞ্জন দে জানিয়েছেন, শুক্রবার ডিওয়াইএফআইয়ের ডাকে উত্তরকন্যা অভিযানে পুলিশি হামলার বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানাবে এসএফআই।
তিনি বলেন, আরএসএসের প্রতিনিধি মমতা ব্যানার্জি বিদেশে গিয়ে একের পর এক মিথ্যে ভাষণ দিয়েছেন কোন তথ্য ছাড়াই। ছাত্র ড্রপ আউট বাড়ছে পশ্চিম বাংলায় শিক্ষাকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে এই রাজ্যে সরকার সময়। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে যাবেন ওনাকে প্রশ্ন সম্মূখীন হতে হবে। তাই মিথ্যে কথা বলা যাবেনা।’’
ছাত্রনেতা সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ল্যান্ড মাইন্ড বিষ্ফোরণ ঘটিয়ে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। এখন সৌজন্যের কথা বলা হচ্ছে।’’ তার কথায়, ‘‘লন্ডনে গিয়ে এসএফআইয়ের প্রশ্নের জবাব না দিয়ে নিজের মার খাওয়ার ছবি দেখাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সৌজন্যের কথা বলছেন। আমাদের ছোট বেলায় জ্যোতি বসুর মৃত্যু কামনা করেছিলেন মমতা ব্যানার্জি। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে ল্যান্ড মাইনে উড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। তৃণমূল আমলে ব্যক্তিগত কুৎসা ছাড়াও অনুব্রত মণ্ডল, শান্তনু সেনের মতো নেতারা একাধিকবার, বিমান বসুকে একাধিক আক্রমণ করেছেন। একাধিক মিথ্যে কুৎসা কথা বলা হয়েছে। এখানে ছাত্ররা শুধু মাত্র কয়েকটা প্রশ্ন করেছে। তাতেই এত অসহিষ্ণুতা!’’
সৃজন ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আরজি কর কাণ্ডে দোষীদের শাস্তি চেয়েছিলেন মমতা ব্যানার্জি। তার লোকেরা প্রমান লোপাট করেছে। ঘটনার দায় দায়িত্ব এড়াতে পারে না মমতা ব্যানার্জি। সেই প্রশ্নের জবাব তাঁকে দিতেই হবে। তা না করে ব্যান্ডেজের ছবি দেখাচ্ছেন। উনি মার খেয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী হিসাবে। কিন্তু, লন্ডনে গেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে। সেখানে বাংলার বাঙালির মাথা হেঁট করে এলেন।’’
Comments :0