ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডকে ২৭ রানে হারাল দক্ষিণ আফ্রিকা। একইসঙ্গে ৩ ম্যাচের একদিনের সিরিজে এগিয়ে গেল ১-০ ব্যাবধানে।
শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাঙ্গুয়াং ওভালে মুখোমুখি হয় দুইদল। টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক টেমবা বাভুমা। প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৭ উইকেটের বিনিময়ে ২৯৮ রান। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয় ২৭১ রানে।
এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে শতরান করেন রাসি ভ্যান ডার ডুসেন। তিনি ১১৭ বলে ১১১ রান করেন। এছাড়া হাফ সেঞ্চুরি করেন ডেভিড মিলার। তাঁর সংগ্রহ ৫৬ বলে ৫৩ রান। এর পাশাপাশি ৩০’র ঘরে রান করে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন কুইন্টন ডি কক, টেমবা বাভুমা এবং হায়েনরিখ ক্লাসেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন স্যাম কুরান। ৯ ওভার বোলিং করে তাঁর ইকোনমি ৩.৮৯। এছাড়া মোইন আলি, আদিল রাশিদ, জোফ্রা আর্চার এবং অলি স্টোন ১টি করে উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ডের শুরুটা ভালোই হয়েছিল। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং ডেভিড মালান জুটি ১৪৬ রান করেন। ১৯.৩ ওভারের মাথায় ৫৫ বলে ৫৯ রান করে আউট হন মালান। তারপর থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে থাকে ইংল্যান্ড। উইকেট আঁকড়ে থেকে পালটা লড়াই চালান জেসন রয়। তিনি ৯১ বলে ১১৩ রান করেন। কিন্তু ক্রীজের অপর প্রান্তে সতীর্থদের কেউ দীর্ঘস্থায়ী না হওয়ায় তাঁর লড়াই বৃথা হয়।
দলীয় স্কোর ১৯৪ রানের মাথায় জেসন রয় আউট হন। এরপর ক্রীজে এসে দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন ইংল্যান্ডের অধিনায়ক জস বাটলার। তিনি ৪২ বলে ৩৬ রান করেন। কিন্তু ক্রীজের অপর প্রান্ত থেকে ন্যূনতম সাহায্য না মেলায় নতুন কোনও জুটি দানা বাঁধেনি। এই তিনজন ছাড়া ইংল্যান্ডের অন্য কোনও ব্যাটার ২০ রানের গন্ডীও টপকাতে পারেন নি। জস বাটলার আউট হন দলের ২৩৪ রানের মাথায়। এর কিছু পরে, ৪৪.২ ওভারের মাথায় ২৭১ রানে শেষ হয় ইংল্যান্ডের ইনিংস।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট নেন আনরিখ নর্টজে। ১০ ওভার বল করে তাঁর ইকোনমি রেট ৬.২০। এদিন সিসান্ডা মাগালা ৩ উইকেট নেন। তাঁর ইকোনমি রেট ৫.১১। এছাড়া কাগিসো রাবাডা ২টি এবং তাবরেজ শামসি ১টি উইকেট সংগ্রহ করেন।
Comments :0