আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে অনুব্রতকে কলকাতায় পৌঁছনো এবং তারপর কেন্দ্রীয় সরকারের কোন হাসপাতাল থেকে তাঁর শারিরীক পরীক্ষা করার পর তাকে ইডি’র হাতে তুলে দেবে আসানসোল পুলিশ। কলকাতা থেকে বিমানে করে অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাবে ইডি। সেখানে নিয়ে গিয়ে রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে পেশ করা হবে তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে।
অনুব্রতর তিহার যাত্রা ঠেকাতে ময়দানে নামে রাজ্য পুলিশ প্রশাসন। শনিবার রাত থেকে চলল এনিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার সঙ্গে চাপনউতোর, এমনকি পত্র-যুদ্ধ!
কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরেই শনিবার রাতেই আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি পাঠিয়ে ইডি’র জানতে চায় অনুব্রতকে কখন জেল থেকে বের করে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হবে। কেননা শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি বিবেক চৌধুরি নির্দেশ দিয়েছিলেন অনুব্রতকে কলকাতায় কোন কেন্দ্রীয় হাসপাতালে মেডিক্যাল টেস্ট করিয়ে তারপরে বিমান দিল্লি নিয়ে যাওয়া যাবে। যেহেতু তিনি আসানসোল জেলে বন্দি, ফলে তাঁকে দিল্লিতে পাঠানোর দায়িত্ব জেল কর্তৃপক্ষের। শনিবার রাত থেকে রবিবার সকাল পর্যন্ত দুফায় ইডি’র তরফে আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়। আসানসোল জেল কর্তৃপক্ষের তরফে প্রথমে কোনও উত্তর মেলেনি। পরবর্তীতে আসানসোল জেলের তরফে অনুব্রতকে কলকাতা হয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার জন্য আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটকে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়। যদিও আসানসোল পুলিশ জানিয়ে দেয় অনুব্রতকে নিয়ে যেতে পারবে না। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ ইডি-কে একথা জানায়। দুপুর পর্যন্ত চলে দফায় দফায় এই নাটক।
Comments :0