Post editorial

এই ব্রিগেড চাপে রাখবে ট্রাম্প-তোষণ নীতিকেও

উত্তর সম্পাদকীয়​

শুদ্ধসত্ত্ব গুপ্ত

তিনি বললেন, সব দেশের প্রধানরা তাঁর পিছনে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বললেন, সবাই তাঁর হাতে ধরছে যাতে শুল্কের ভার সরিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু তিনি কাউকে ছাড়বেন না। সবকটাকে টাইট দিয়েই ছাড়বেন। কিছু পরে সেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনই ঘোষণা করল যে ‘পালটা শুল্ক’৯০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা হলো। চালু থাকবে কেবল ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক। তবে হ্যাঁ, চীনকে ছাড় নেই। কারণ ওরা কথার ওপর কেবল কথা বলেছে। করের পালটা কর চাপিয়েছে।
বিশ্বজুড়ে সবাই বলছে চীন তো বটেই, এমনকি পাশের দেশ মেক্সিকো-কানাডা যেভাবে ঢিলের বদলে পাটকেল ছুঁড়েছে ট্রাম্পের না পিছিয়ে উপায় ছিল না। তাছাড়া তাঁর দেশের বহুজাতিকরা চীনের থেকে সরঞ্জাম আমদানি না করলে পথে বসবে। আইফোন নির্মাতা ‘অ্যাপল’তো সরঞ্জামের বেশিরভাগই আনে চীন থেকে! ফলে এবার ট্রাম্প বললেন, ল্যাপটপ, কম্পিউটার চিপের মতো একগুচ্ছ বৈদ্যুতিন সরঞ্জামে শুল্ক ছাড়, চীন থেকে এলেও ছাড়। তবে চীন এসবে খুশি নয়। পরিষ্কার বলছে, ‘পালটা শুল্কের’নাম করে এই বাণিজ্য যুদ্ধে বিশ্বের কারও লাভ হবে না। এই নীতিটাই বাতিল করতে হবে।
ট্রাম্পকে কেউ ভয় পাচ্ছে না। ভয় পাচ্ছেন শুধুই নরেন্দ্র মোদী। ভয় পাচ্ছে এদেশের বিজেপি সরকার। ছাপ্পান্ন ইঞ্চি ছাতি পুরো চুপসে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বিচারে আমেরিকা যখন ‘একলা জগাই’, মোদী তাঁর দলবল নিয়ে তখন গলায় গামছা দিয়ে হাত কচলাচ্ছেন। কিন্তু তার ফল ভুগতে হচ্ছে দেশের মানুষকে। আমেরিকার জন্য একের পর এক ছাড়ের ডালি সাজিয়ে বসে রয়েছেন মোদী। তার মধ্যে রয়েছে কৃষিক্ষেত্রও। কৃষিজীবীদের জীবিকা কেবল আরও বিপন্ন হবে তাই নয়, আমেরিকার একচেটিয়া কৃষি বহুজাতিকদের দাপটে আরও বেশি দামে খাদ্যপণ্য কিনতে হবে ক্রেতাসাধারণকেও।   
কেন ট্রাম্পের এই শুল্কযুদ্ধ 
এমনিতে আমদানি শুল্ক বসানোর মানে ঘরের বাজারে তার দাম বাড়ানোর ব্যবস্থা করা। আবার দেশে তৈরি সামগ্রীর বাজার বাড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। অবশ্য আমদানির বিকল্প দেশে উৎপাদনের ব্যবস্থা থাকা জরুরি। এখন ট্রাম্প বলছেন আমেরিকা ছিল উৎপাদন শিল্পের কেন্দ্র। আমেরিকা তার সেই জায়গা হারিয়েছে। তার জন্য দায়ী দেশের বাজার অন্য দেশের পণ্য পরিষেবার জন্য খুলে দেওয়া, অর্থাৎ বিদেশ থেকে পণ্য ও পরিষেবার আমদানি।
প্রকৃত ঘটনা হলো আমেরিকা অন্যের বাজার দখল করেছে, নিজের বাজার খুলেছে যতটা কম পারা যায়। ট্রাম্প আসলে শুল্কের জুজু দেখিয়ে সব দেশকে নিজের শর্ত মানতে বাধ্য করতে চাইছেন। আমেরিকার আসল আপত্তি বহুমেরু সম্পন্ন আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। কেননা সেক্ষেত্রে সাম্রাজ্যবাদের আধিপত্য বাধা পায়। যে কারণে দ্বিতীয় পর্বে ডোনাল্ড ট্রাম্পের আগ্রাসী শুল্কনীতিকে সাম্রাজ্যবাদের নগ্ন রূপ বলেই মনে করা হচ্ছে। এমনকি আমেরিকার আধিপত্য বজায় রাখতে গিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শিবিরের নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বও মাথাচাড়া দিচ্ছে। 
ট্রাম্পের এবং উগ্র দক্ষিণপন্থার রাজনীতি দাঁড়িয়েই আছে সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের ব্যর্থতাকে আড়াল করার দায়বদ্ধতা নিয়ে। এই নীতিতেই বিশ্বে এবং দেশে দেশে তীব্র হয়েছে বৈষম্য। আমেরিকার রাজনীতিতে বৈষম্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও হয়ে উঠেছে। অল্প সংখ্যক বিপুল ধনীদের সম্পদের পাহাড় একদিকে। আরেক দিকে বিপুল অংশের সাধারণ মানুষের জীবন যাপনের জন্য আয়ের জোগাড়ে তীব্র অনিশ্চয়তা। এমনকি আমেরিকায় সব বড় শহরে হচ্ছে বিক্ষোভ। 
যে কারণে ট্রাম্পের মতো দক্ষিণপন্থীরা অপরায়ণের কৌশলে শোষিত শ্রমজীবীর এক অংশকে অন্য অংশের শত্রু করে দেখাচ্ছে। ট্রাম্প জানেন যে বিশ্ব অর্থনীতির সঙ্কট চাহিদার সঙ্কট, যা তার পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়। সাম্রাজ্যবাদী বিশ্বায়নের নীতি এই সঙ্কট মেটাতে পারবে না। ফলে আমেরিকাকে মহান করে তোলার একটি রাজনৈতিক স্লোগান তাকে রাখতে হচ্ছে। সে যে অন্যদের দমন করতে পারে চাইলেই, সেটাই দেখাতে হচ্ছে ট্রাম্পকে। এই শুল্ক নীতি খাটবে না জেনেও চালু করতে হচ্ছে যা আসলে নিছক হম্বিতম্বি। কেবল শুল্কনীতি কিন্তু নয়। গাজা দখল করে, প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে, মনোরম  ‘রিভেরা’তৈরির ঘোষণাও ‘আমেরিকা মহান’প্রকল্পের অংশ। 
ডিগবাজি 
মার্চের মাঝামাঝি থেকে এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময়কাল দেখলেই পরিষ্কার বোঝা যাবে ট্রাম্প কিভাবে বারবার ডিগবাজি খাচ্ছেন। আসলে ডিগবাজি খেতে তিনি বাধ্য হচ্ছেন। ট্রাম্প ভেবেছিলেন আমেরিকা দেওয়াল তুলতে থাকলেই সেটা টপকে মার্কিন স্বর্গরাজ্যে প্রবেশের জন্য কাকুতি মিনতি পড়ে যাবে বিশ্বজুড়ে। কিন্তু আদপে এমন কিছু হচ্ছে না।
ট্রাম্প কোথাও তথ্য দেননি, কোন দেশের শুল্ক আমেরিকার জন্য চড়া যে তাঁকে পালটা শুল্ক বসাতে হচ্ছে। এপ্রিলের ২ তারিখ থেকে চড়া শুল্কের ঘোষণা করলেন। দশদিনের মধ্যে ৯০ দিন স্থগিত রাখবেন বললেন। বললেন চীনের ওপর শুল্ক ১৪৫ শতাংশ হবে। চীনও ১২৫ শতাংশ শুল্ক বসিয়ে দিল। দিন দুই পরে এই ট্রাম্পই ঘোষণা করলেন চীনের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, চিপের মতো পণ্যে বাড়তি শুল্ক লাগু হবে না। নিজের বহুজাতিকদের চাপেই এই ঘোষণা করতে হলো তাঁকে। না হলে তাঁদের পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে।  
বাণিজ্য যুদ্ধ-২, চীন 
বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সমীক্ষা দাতা একটি সংস্থার রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতি কার্যকর হতে থাকলে ১৯৩০ এর কুখ্যাত ‘স্মুট– হাওলি’ শুল্ক ব্যবস্থার চেয়েও পরিস্থিতি খারাপ হবে। আন্তর্জাতিক স্তরেই শুল্ক বৃদ্ধি পাবে, বাণিজ্য হ্রাস পাবে, যা আগের সময়ের তুলনায় অনেক বেশি আক্রমণাত্মক হবে। অনেক বেশি দেশ, অনেক বেশি পণ্যকে বর্ধিত শুল্ক হারে যুক্ত করা হচ্ছে। যতটা না অর্থনৈতিক বৃদ্ধির কৌশল এর কারণ, তার চেয়ে অনেক বেশি কাজ করছে রাজনৈতিক লক্ষ্য। বিদেশ নীতির প্রধানতম অস্ত্র হয়ে উঠছে শুল্ক নীতি। 
আমেরিকার কংগ্রেসের গবেষণা বিভাগ তাদের রিপোর্টেই বলেছে, সে দেশের বহুজাতিক সংস্থাগুলোর ৭০ শতাংশ বিদেশি মুনাফা আসে এমন এলাকা থেকে যেখানে করের হার কম। এই দেশগুলো কর বাড়ালে আমেরিকার বহুজাতিক সংস্থাগুলিকেও হোঁচট খেতে হতে পারে। 
চীনকে বিপক্ষে ফেলার নানা কৌশল বের করছেন ট্রাম্প। সব মিলিয়ে চীন থেকে আমদানির শুল্ক দাঁড়াবে ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। দেশের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম আমদানির সরবরাহ শৃঙ্খল (Supply Chain) চীন থেকে পুরোপুরি সরিয়ে নিতে চাইছে আমেরিকা। চীন স্পষ্ট করে বলেছে মার্চেই, যে কেবল বাণিজ্য যুদ্ধ নয়, যে কোনোরকম যুদ্ধের জন্য তারা তৈরি রয়েছে। আমেরিকা কেন্দ্রিক অর্থনীতি সমীক্ষা সংস্থাগুলির অনুমান, নতুন পর্বে আমেরিকা চীন বাণিজ্য পুরোপুরি বন্ধ হলেও আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। তবে সমস্যা হলো আমেরিকাকে চীনের থেকে বহু জিনিসই আমদানি করতে হয়। যেমন কম্পিউটার এবং বৈদ্যুতিন পণ্য, বস্ত্র, মেশিনারি, কেমিক্যাল, রাবার খেলনা এমনকি ধাতুও। 
কিন্তু চীন এবার অনেক বেশি তৈরি, বলছে আমেরিকার গবেষণা সংস্থাগুলিই। কোভিডের পর থেকে চীন অভ্যন্তরীণ অর্থনীতিকে সচল রাখতে আর্থিক প্রণোদন (Incentive) বাড়িয়েছে ব্যাপক মাত্রায়। মার্চে চীন যে পালটা শুল্ক বসিয়েছে তার আওতায় এনেছে আমেরিকা থেকে পাঠানো কৃষি পণ্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পণ্যগুলোকে। সেমিকন্ডাক্টর এবং বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম তৈরির পক্ষে প্রয়োজনীয় বিরল খনিজ রপ্তানির উপরে কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করেছে চীন। আমেরিকাকে বিপাকে ফেলার পক্ষে এই পদক্ষেপ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফ্রান্স এবং পরে বাইডেনের সময়ে, যখন শুল্কের হার বাড়াচ্ছে আমেরিকা, চীন আমদানি এবং রপ্তানি দুইয়ের ক্ষেত্রেই বিকল্প উৎস খুঁজে বের করে নিয়েছে। বরং সমস্যায় বেশি পড়েছে আমেরিকার উৎপাদক সংস্থাগুলি। 
চীন বাণিজ্য যুদ্ধের মোকাবিলায় নেমে খাদ্য আমদানির উৎস সরিয়ে রাশিয়া এবং অন্য দেশে নিয়ে যায়। কিন্তু আমেরিকা নিজের আমদানির বিকল্প খুঁজতে সমস্যায় পড়ে। যার দরুন চীনের থেকে বেশি দামে কিনতে হয় সরঞ্জাম। নিজেদের বসানো শুল্কের কারণে শেষ পর্যন্ত অতিরিক্ত শুল্কের বোঝা বইতে হয় আমেরিকারই জনতাকে। এবারও পরিণাম সেদিকে যে যাবে না এই নিশ্চয়তা কোথাও নেই। একাধিক সমীক্ষায় অনুমান এপ্রিলের আগে পর্যন্ত যে শুল্ক কার্যকর হয়েছে তাতে শেষ পর্যন্ত আমেরিকার মোট অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ০.৪ শতাংশ কমে যাবে। প্রায় তিন লক্ষ লোক হারাতে পারেন জীবিকা। 
অর্থনীতিবিদদের অনেকেই মনে করেছেন, আসলে বিশ্বব্যাপী চাহিদার সঙ্কটের মুখে পড়ে রক্ষণশীল বাণিজ্য নীতি নেওয়া হয়েছিল। তাতেও কাজ হয়নি। লেনিন তার আগেই ব্যাখ্যা করেছিলেন সাম্রাজ্যবাদ কিভাবে জাতীয় অর্থনীতিগুলোকে ধ্বংস করে একচেটিয়া কারবারের বাড়বাড়ন্তকে নিশ্চিত করে। সাম্রাজ্যবাদ গড়েই ওঠে যখন একচেটিয়া সংস্থাগুলি জাতীয় বাজারের সীমা অতিক্রম বাইরের বাজারকে দখল করতে নামে। 
কানাডা এবং মেক্সিকোর সঙ্গে বিবাদ দিয়ে শুরু করেছিলেন ট্রাম্প। দিলেন গ্রিনল্যান্ড কিনে নেওয়ার উদ্ধত হুমকি। গাজা থেকে প্যালেস্তিনীয়দের তাড়িয়ে অন্য দেশে পাঠানোর ঘোষণা পর্যন্ত করে দিলেন। বস্তুত আমেরিকার নেতৃত্বে সাম্রাজ্যবাদকে বারবার ধাক্কা খেতে হচ্ছে। চাইলেও কিছুতেই এক মেরুর বিশ্ব করা যাচ্ছে না। সোভিয়েতের পতনের পর সহজেই তেমনটা করা যাবে ভেবেছিল সাম্রাজ্যবাদী শিবির। অতি সম্প্রতি রাশিয়াকে এক ঘরে করতে নেমেছিল ট্রাম্পের পূর্বসূরি বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু রাশিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে গিয়েছে ব্রিকস গোষ্ঠী। 
লক্ষ্য ভারতের কৃষি
মোদী সরকার আমেরিকা থেকে আমদানি করা হয় এমন ৫৫ শতাংশ পণ্যে শুল্ক কমিয়েছে বা কমাতে চলেছে। এবারের বাজেটেই আমেরিকার হুইস্কি থেকে ইথারনেট সুইচে শুল্ক কমিয়েছে কেন্দ্র। ২৫ মার্চ সংসদে পেশ করা অর্থ বিলে ৬ শতাংশ ‘ডিজিটাল ট্যাক্স’তুলে নেওয়ার প্রস্তাব পেশ করা হয়। এই কর আদায় করা হয় আমেরিকার গুগলের মতো তথ্য প্রযুক্তি পরিষেবাদাতা সংস্থাগুলির থেকে। আমেরিকা চড়া শুল্কের অভিযোগ তুললেও বাস্তব তা নয়। আমেরিকার থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত পেট্রোলিয়ামে আমদানি শুল্ক প্রতি টনে মাত্র ১ টাকা। আমেরিকার কয়লা, তরলীকৃত প্রাকৃতি গ্যাস বা বিমানে শুল্কের হার মাত্র ২.৫ শতাংশ। 
কিন্তু আমেরিকা চাপ দিয়েই চলেছে। আমেরিকার শুল্ক নীতিতে ক্ষতির মুখে পড়বে ভারতের ওষুধ শিল্প। আমেরিকা শর্ত দিচ্ছে শুল্ক কমাতে হলে ভারতের কৃষি বাজার আরও খুলে দিতে হবে। এর আগে দেশি-বিদেশি বহুজাতিকদের চাপে কৃষকের কৃষিকে কর্পোরেট কৃষিতে রূপান্তরিত করতে তিন আইন পাশ করেছিল বিজেপি। আন্দোলনের চাপে সে আইন বাতিল করতে হয়েছে। এখন কৃষি বিপণন সংক্রান্ত নীতির খসড়া পেশ করেছে। সেখানে সরকার নিয়ন্ত্রিত কৃষি বাজার থেকে গুদাম, ঢালাও কর্পোরেটের হাতে তুলে দেওয়ার সংস্থান রাখা হয়েছে। এই অভিমুখে আরও এগতে চায় মোদী সরকার। কৃষি বাণিজ্য মহলের মত, ডাল, সয়াবিন, তুলোর মতো কৃষি পণ্যে শুল্ক কার্যত বাতিল করতে চাপ দিচ্ছে আমেরিকা। ভারতের কৃষকদের সর্বনাশ করে আরও পাকা হবে আমেরিকার কৃষি বহুজাতিকের দাপট। লক্ষণীয়, এ রাজ্যে তৃণমূল সরকার কেন্দ্রের কৃষি আইনের আগে থেকেই বড় ব্যবসায়ীদের জন্য কৃষির বাজার খুলে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিল।
এরাজ্যের শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, বস্তিবাসী আন্দোলন ২০ এপ্রিল ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। যার অন্যতম দাবি, দেশের কৃষিকে বাঁচানো, কৃষক এবং কৃষিজীবীকে বাঁচানোর। বহুজাতিক নিয়ন্ত্রিত কৃষিনীতির বিপক্ষে সব অংশকে শামিল করার আহ্বান জানিয়েছে এই সমাবেশ। রাজ্যজুড়ে চলছে প্রচার। বিভেদ আর বিদ্বেষের সঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে মেহনতির ঐক্যকে জোরদার করার বার্তায়। সে কারণে আমেরিকাকে, দেশী-বিদেশি বহুজাতিকদের তোষণের নীতিকেও চাপে রাখবে এই ব্রিগেড।
 

Comments :0

Login to leave a comment