২০২৬’র আগে তৃণমূলের ব্লু প্রিন্ট দেখা গিয়েছে কালীগঞ্জে। পুলিশ-প্রশাসনকে দলদাস করে দুষ্কৃতীদের ব্যবহার করে ভোট রাজ্যে কিভাবে হচ্ছে, দেখা গিয়েছে কালীগঞ্জে। প্রাণ গিয়েছে কিশোরীর।
বুধবার কালীগঞ্জে কিশোরী তমন্না খাতুনের হত্যাকাণ্ডে এই প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন কলকাতায় মুজফ্ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি জানিয়েছেন ২৮ জুন সিপিআই(এম) বিক্ষোভ সমাবেশ করবে কালীগঞ্জে। সেলিমের পাশাপাশি থাকবেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জিও। তিনি জানিয়েছেন বামফ্রন্টের সভাপতি বিমান বসুর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দল ২৯ জুন যাবে কালীগঞ্জে।
দু’দিনের রাজ্য কমিটি বৈঠকের পর এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেলিম। কালীগঞ্জ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, কালীগঞ্জের উপনির্বাচন দেখিয়েছে রাজ্যে কিভাবে ভয় ভীতি সঞ্চার করে ভোট হয়। কিভাবে পুলিশ, মস্তান ব্যবহার করা হয় দেখা গিয়েছে।
বাম গণতান্ত্রিক ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে কোণঠাসা করার জন্য। পুলিশকে দলদাস বানিয়ে এই হামলা হয়েছে। সেলিম বলেছেন, অপদার্থ নির্বাচন কমিশন, অপদার্থ এসপি।
সেলিম বলেছেন, তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্রকে কবরে পাঠিয়েছে। কালীগঞ্জের ঘটনা তা প্রমাণ করে দিয়েছে।
২৩ জুন কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচনে গণনার দিন মোলান্দি গ্রামে ফল ঘোষণার আগেই তৃণমূল বিজয় মিছিল বের করে। সিপিআই(এম) সমর্থকদের বাড়ি লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় বোমা। বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় তমন্নার। পুলিশ এবং নির্বাচন কমিশনের তীব্র নিন্দা করেন সেলিম।
তিনি বলেছেন, ওই গ্রাম সন্ত্রাস কবলিত। পুলিশ মিথ্যা বলছে। রাজ্য পুলিশের টুইটারে বলা হলো বোমার আঘাতে মৃত্যু। দশ মিনিটের মধ্যে বোমা শব্দটি তুলে নেওয়া হলো। বলা হলো, দুর্ঘটনাবশত স্প্লিন্টার লেগে মৃত্যু হয়েছে ওই কিশোরী।
সেলিম বলেন, ওখানকার থানা পরিচালনা করে তৃণমূল। ত্রিপুরায় যেভাবে ভোট করছে বিজেপি ঠিক একইভাবে এরাজ্যে আরএএস-র ব্লু প্রিন্টে ভোট করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদের উদ্দেশ্য, ‘সেকু-মাকু’ শেষ করতে হবে, ধর্মনিরপেক্ষ বামপন্থী শক্তি থাকতে দেবে না।
কমিশনের ভূমিকার তীব্র নিন্দা করে তিনি বলেন, নির্বাচনের কমিশনের নির্দেশ থাকে আগাম গ্রেপ্তারির। পুলিশ তা করেনি। ভোট শুরু পরও পুলিশকে জানানো হয় ওই গ্রামে বোমা মজুত রয়েছে, ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীবাহিনী। রিটার্নিং অফিসার, এসডিও-কে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। প্রশাসনের কেউ ব্যবস্থা নেয়নি।
সেলিম বলেন, বগটুই থেকে বলা হচ্ছে অস্ত্র উদ্ধার করার কথা। কিন্তু তা হচ্ছে না। উলটে ভোটের আগে পুলিশ ধরছে বিরোধীদের।
সেলিম প্রশ্ন তোলেন কালীগঞ্জে কিশোরী হত্যায় কেবল চারজন গ্রেপ্তার কেন? বাকিরা গ্রেপ্তার হচ্ছে না কেন? উল্লেখ্য, তমন্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন শেখ এফআইআর-এ একাধিক দুষ্কৃতীর উল্লেখ করেছে,
সেলিম বলেন, সিপিআই(এম) এবং কিশোরীর পরিবার এসপি, ডিএম-কে বলা হয়েছে। ২৮ তারিখ তিনটেয় হবে প্রতিবাদ সভা।
সেলিম বলেন, শতশত মেয়ে-শিশুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, খুন হচ্ছে। তার প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি সব অংশকে।
Salim on Kaliganj
পুলিশ-প্রশাসনকে ধিক্কার সেলিমের, কালীগঞ্জে বিক্ষোভ সভা ২৮শে

×
Comments :0