Protest

দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ

উত্তর সম্পাদকীয়​

কলতান দাশগুপ্ত

আজ থেকে ৬৫ বছর আগে এই বাংলায় দু’মুঠো ভাতের দাবিতে আন্দোলন হয়েছিল। গ্রাম বাংলা থেকে হাজারে হাজারে মানুষ কলকাতার রাস্তায় জড়ো হয়েছিলেন নিজেদের মৌলিক অধিকারের দাবিতে। এই ধরনের যেকোনও আন্দোলনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের দায় থেকে যায় দুইরকম ভাবে। এক, সংকটের মোকাবিলায় সরকার কি দায়িত্ব পালন করল আর দুই, মানুষের ক্ষোভ নিরসনে তার ভুমিকা কি?
১৯৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলন, কিছুদিন আগের দেশজোড়া কৃষক আন্দোলন বা বর্তমানে আর জি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবির আন্দোলন দেশের গণআন্দোলনের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দখল করে। এই সব ক্ষেত্রেই সঙ্কটের মোকাবিলায় রাষ্ট্র সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ এবং সেই ব্যর্থতাকে চাপা দেওয়ার জন্য সে দমন পীড়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের প্রতিবাদকে দমিয়ে রাখতে চায়।  

১৯৫৯ সাল। খাদ্য চাই, খাদ্য দাও– নইলে গদি ছেড়ে দাও স্লোগানকে সামনে রেখে সারা রাজ্যে ব্যাপক প্রচার করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে ঘাটতি রয়েছে এমন রাজ্যের তালিকাভুক্ত ছিল তখনকার পশ্চিমবঙ্গ। এর সাথেই দিন দিন বাড়ছিল চালের দাম। এর প্রতিবাদে ৩১ আগস্ট কলকাতায় বিরাট সমাবেশ আয়োজিত হয়। গ্রাম থেকে মানুষ যাতে কলকাতার বিক্ষোভে উপস্থিত না হতে পারে তাই অনেক ট্রেন বাতিল করে দেওয়া হয়। সমাবেশ আটকানো যায়নি। বিকালের দিকে রাজভবনের উদ্দেশ্যে এগিয়ে চলা মিছিলের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়ে পুলিশ। কোনোরকম পূর্ব ঘোষনা ছাড়াই নির্মম কায়দায় আক্রমণ করা হয়। লাঠি পেটা, টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়া এমনকি সরাসরি গুলি চালিয়ে দেওয়া হয়।


৫৯ সালে জনগণের ভয়াবহ সঙ্কট দেখেও শাসকেরা কোনও সদর্থক পদক্ষেপ নেয়নি। তাই খাদ্যের দাবিতে তৈরি হওয়া আন্দোলনে সব ধরনের মানুষ নিজেদের একাত্ম করে নেন।  সরকার মানুষের সঙ্কটের প্রশ্নে ধারাবাহিকভাবে উদাসীন থাকলে এবং তার বিরুদ্ধে সঠিক পথে লড়তে থাকলে গণআন্দোলনে ব্যাপক সাড়া পাওয়া যায়। অত্যাচারিত, শোষিত মানুষের সঙ্কট যতই  তীব্র হোক না কেন, সংগ্রামী ঐক্য গড়ে তোলা গেলে শাসকের বিরুদ্ধে সঠিক দাবি উত্থাপন এবং বহু ক্ষেত্রে  সংগঠিত লড়াই সংগ্রাম করা গেলে শাসক পিছু হটতে বাধ্য। এই অভিজ্ঞতা আমাদের পূর্বসূরিদের হয়েছিল ৫৯ সালের খাদ্য আন্দোলনের সময়ে, আর আমরা এই অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছি বর্তমানে আর জি করের নির্যাতিতার ন্যায়বিচারের দাবির আন্দোলনে।


৯ আগস্ট সন্ধ্যায় আর জি করের পুলিশ মর্গের বাইরে আমরা উপস্থিত হই। চারপাশে সবাই ফিসফিস করে কথা চালাচ্ছে। একটা অদ্ভুত নীরবতা। হাসপাতালে কর্মরত অবস্থায় এক ডাক্তারের নির্যাতন ও মৃত্যু, অথচ সেখানে যে উত্তেজনা হওয়ার কথা ছিল সেটা নেই। আমাদের সন্দেহ সেখান থেকেই শুরু হয় যে এটা স্রেফ নির্যাতন ও মৃত্যুর ঘটনা নয়। এর পিছনে বড় কিছু আছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই শববাহী গাড়িতে করে হাসপাতালের ভিতর থেকে দেহ নিয়ে ছুটে পালাতে যায় পুলিশ। আমরা আটকানোর চেষ্টা করি, পরিবারের সাথে কথা বলতে চাই। পুরুষ পুলিশ দিয়ে মহিলা কর্মীদের আক্রমণ করিয়ে, কার্যত গ্রিন করিডর করে গাড়ি চালিয়ে দেহ নিয়ে পালালো পুলিশ। রহস্য ক্রমাগত ঘনীভূত হতে থাকায় নির্যাতিতার সঠিক বিচারের দাবিতে ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে ১২ আগস্ট থেকে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই ও সারাভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি আর জি করের উল্টোদিকে অবস্থানে বসে। তৃণমূলের বিধায়ক এবং পুলিশবাহিনী উভয় নির্যাতিতার বিচারের থেকেও বেশি গুরুত্ব আরোপ করে অবস্থান মঞ্চ তুলে দেওয়ার জন্য। ইতিমধ্যে বিভিন্ন মানুষ নিজেদের মতো করে নির্যাতিতার বিচারের দাবিতে পথে নামতে থাকেন। প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিরা এই ঘটনাটিকে যথেষ্ট সংবেদনশীলভাবে দেখার পরিবর্তে নানান দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য করতে থাকেন ঠিক যে ধরনের মন্তব্য কামদুনি, পার্ক স্ট্রিট, হাসখালি, ধুপগুড়ি,  হাথরস, উন্নাও-এর সময় করা হয়েছিল।

১৩ তারিখ সন্ধ্যায় খবর পাওয়া যায় যে সেমিনার রুম ভাঙা হচ্ছে, আগে থেকেই নাকি টেন্ডার ডাকা ছিল! কিন্তু সাধারণ মানুষের বুঝতে অসুবিধা হয় না যে তথ্য প্রমাণ লোপাট করার উদ্দেশ্যই তড়িঘড়ি এই কাজ করা হচ্ছে। আমাদের শৃঙ্খলাবদ্ধ প্রতিরোধের ফলে প্রশাসনের তথ্য প্রমাণ লোপাটের প্রাথমিক চেষ্টা বাতিল হয়। অপরদিকে আর জি করের কলেজের প্রিন্সিপালের নাটকীয় পদত্যাগের পরপরই তাকে পুরষ্কার হিসাবে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজের সুপার করা হয় প্রশাসনের শীর্ষস্তরের নির্দেশে। রাজ্যের এবং দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রের মানুষের ক্ষোভ বাড়তে থাকে। তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের পক্ষ থেকে আর জি করের ঘটনাকে ক্রমাগত হালকা করে দেখানোর চেষ্টা এই ক্ষোভকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলশ্রুতিতে ১৪ তারিখ মেয়েদের রাগ দখলের কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এই রাত দখলের কর্মসূচি শহরাঞ্চল ছাড়িয়ে গ্রামে, গঞ্জে, মফস্বলে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। সাধারণ মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এতটাই ছিল যে রাজ্য ও দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের বহু জায়গাতেও আর জি করের ঘটনা প্রতিবাদে রাত দখলের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। যে ন্যক্কারজনক ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ প্রশাসনের পক্ষ থেকে হওয়া উচিত ছিল, মূল দোষীদের যথোপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা প্রশাসনের পক্ষ থেকে হওয়া উচিত ছিল তার বিন্দুমাত্র হয়নি, উলটে প্রমাণ লোপাটের জন্য নতুন ফন্দি আঁটা হয়। ১৪ তারিখ রাতে গোটা রাজ্যজুড়ে, দেশজুড়ে এবং বিদেশেও কত মানুষ রাস্তায় নেমেছিলেন তার আক্ষরিক হিসাব করা দুষ্কর। কিন্তু গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঢেউ যে প্রশাসনকে কার্যত নাড়িয়ে দিয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। নির্যাতিতার ন্যায়বিচার এবং দোষীদের বিন্দুমাত্র আড়াল না করে যথাযথ শাস্তির দাবিতে এত মানুষ রাস্তায় নেমে পড়বেন এটা সম্ভবত প্রশাসনের ধারণায় ছিল না।

সমাজের ভালো এবং মন্দের নানান দ্বন্দ্বের কথা আমরা বইতে পড়েছি। ১৪ তারিখ রাতে আর জি করের সামনে দাঁড়িয়ে ওই অবস্থান মঞ্চ থেকে ভালো এবং মন্দের প্রত্যক্ষ দ্বন্দ্ব আমরা চোখের সামনে দেখলাম। গোটা পৃথিবী যখন মোবাইলের আলো জ্বালিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছিল নির্যাতিতার ন্যায় বিচারের দাবিতে তখন একদল দুষ্কৃতী হাসপাতালের মধ্যে ঢুকে সেমিনার রুম (যা কিনা আক্ষরিক অর্থে ন্যায় বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ জায়গা) ভাঙচুর করার চেষ্টা করল। কোনও সভ্য দেশে আজপর্যন্ত প্রমাণ লোপাটের চেষ্টায় হাসপাতালে ঢুকে ভাঙচুর চালানো হয়েছে কিনা জানা নেই। এই হাসপাতাল ভাঙচুরের ঘটনায় এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির নেতৃত্বের একাংশের নামে সমন জারি করল পুলিশ। ধরপাকড় চালু হলো। সম্ভবত প্রশাসনের ধারণা ছিল ভয় দেখিয়ে, চাপ তৈরি করে এই আন্দোলনকে ধামাচাপা দেওয়া যাবে। আদতে ফল হলো উল্টো। যে মানুষেরা হয়তো ১৪ তারিখ রাতেও রাস্তায় রাত দখলে নামেননি এবার তারাও ধীরে ধীরে সাহস সঞ্চয় করে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ সংগঠিত করতে লাগলেন। স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা তাদের ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদ আন্দোলন শুরু করলেন। সমাজ গড়ার কারিগররা নতুন প্রজন্মকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা শেখাবেন, এটাই কাম্য। অথচ লাগাতার গণআন্দোলনের ঘটনায় নার্ভ ফেল করে যাওয়া সরকার ফের তার প্রশাসনকে ব্যবহার করে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের উপর নানা ফতোয়া জারি করলেন। গণআন্দোলনের চাপে ফতোয়া কার্যত উড়ে গেল। ফতোয়া জারি হয়েছিল ফুটবল মাঠেও। গোটা বিশ্বজুড়ে ফুটবল মাঠ নানান প্রতিবাদের ধারক ও বাহক। টিফোকে হাতিয়ার করে বহু খেলাতেই বর্ণবৈষম্যের বিরুদ্ধে অথবা স্বৈরতান্ত্রিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে গর্জে উঠেছেন সাধারণ মানুষ। আমাদের এখানেও ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগানের চিরকালীন লড়াইয়ের মধ্যেও বারংবার উঠে এসেছে প্রতিবাদের ভাষ্য। গণআন্দোলনের জোয়ারে ভয় পেয়ে গিয়ে ইস্টবেঙ্গল মোহনবাগান ম্যাচ বাতিল ঘোষণা করে প্রশাসন। ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান, মহামেডানের হাজার হাজার সমর্থক প্রতিবাদের ভাষ্য নিয়ে হাজির হন খেলার মাঠের সামনে। যারা আগের দিন পর্যন্ত সোশাল মিডিয়ায় একে অপরের প্রতি আক্রমণ শানিয়েছেন, সেই যুযুধান সমর্থকদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদের সামনে কার্যত লেজ গুটিয়ে পালাতে বাধ্য হয় পুলিশ।

গ্রামে বিড়ি বাঁধেন যিনি, খেতের কাজ করেন যিনি, শহরে মধ্যরাতে ট্যাক্সি চালান যিনি, অথবা আইটি সেক্টরে কাজ করেন যিনি, সেই মহিলাদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে রাতের শিফটে মহিলাদের 'যথাসম্ভব কাজ না দেওয়ার' কথা জানাচ্ছে রাজ্য সরকার। নির্যাতন মোকাবিলায় মহিলাদের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ তো আসলে পুরুষতান্ত্রিক এবং লিঙ্গবৈষম্যমূলক ভাবনা। এই ভাবনা তো আরএসএস পোষণ করে! মুখে আরএসএস বিরোধিতার কথা বলে কাজের ক্ষেত্রে একই ভাবনা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা কেন? প্রশ্নগুলো সহজ, আর উত্তরতো জানা! মাথার মধ্যে মনুবাদী চিন্তাভাবনা নিয়েই রাজ্য সরকার কাজ করে এই কথা আমরা বহুবার, বহুভাবে বলেছি। এখন সমাজের নানান অংশের মানুষ নিজের চোখের সামনে এই উদাহরণ দেখতে পাচ্ছেন। সরকার যদি প্রথমেই ঘটনার গভীরতা স্বীকার করে, দোষীদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থার দিকে এগতেন তাহলে হয়তো আন্দোলন এইদিকে মোড় নিত না। কিন্তু স্বৈরাচারী শাসক  তাদের দূরবিনীত অপরাধীদের নিজের ছাতার তলায় রেখে প্রতিবাদী whistle blower দের যেভাবে আক্রমণ শুরু করলেন তাতে গণআন্দোলন এক অন্য মাত্রা নিল। প্রতিদিনই আমরা সমাজের বিভিন্ন অংশের মানুষকে নতুন করে এই গণআন্দোলনে শামিল হতে দেখছি। এই আন্দোলনের ব্যক্তি আন্দোলনের স্লোগান এতটাই সাধারণ মানুষকে নাড়া দিয়েছে যে যিনি হয়তো গতকাল পর্যন্ত রাস্তায় নামেননি তিনিও আজকে পথে নেমে ন্যায় বিচারের দাবির লড়াইতে শামিল হয়েছেন।

বহু নতুন স্লোগান এই আন্দোলনের মধ্য থেকে উঠে এসেছে যা অতীতে আমরা কখনো শুনিনি। স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের মিছিল করা যাবে না এই ফতোয়ার পালটা হিসাবে স্লোগান উঠেছিল, "সব ক্লাসে বলে দিস, we want justice"!  ফুটবলের বড় ম্যাচ বাতিল হওয়ার পর রাস্তাজুড়ে হাজারো জনতার সম্মিলিত স্লোগান ছিল, "বাঙাল ঘটি একটাই স্বর, জাস্টিস ফর আর জি কর"! মফস্বলের এক স্কুলপড়ুয়া তার বন্ধুদের সাথে নিয়ে ঘাম মুছতে মুছতে স্লোগান দিচ্ছে, "দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলে হবে...পথে নেমে লড়তে হবে!" আজ থেকে অনেক দিন আগে আমরা গানের মাধ্যমে শুনেছিলাম, অন্ধকার সময় কি গান হবে না? হবে, অন্ধকারের গান হবে! আজ বাস্তবে যখন নিকষ কালো অন্ধকার আমাদের চারপাশ ঘিরে ধরছে তখনই অন্ধকার সময়ের স্লোগান আগুন জ্বালাতে সাহায্য করছে। আগুন জ্বালছেন বহু মানুষ যারা অতীতে না থাকলেও বর্তমানে এই গণআন্দোলনের মধ্যে প্রবলভাবে আছেন। বহুদিন আগে কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য লিখেছিলেন, 
"বিদ্রোহ আজ বিদ্রোহ চারিদিকে,
আমি যাই তারি দিনপঞ্জিকা লিখে,
এতো বিদ্রোহ কখনো দেখেনি কেউ,
দিকে দিকে ওঠে অবাধ্যতার ঢেউ!"


স্বৈরাচারী শাসকের বিরুদ্ধে দিকে দিকে এই অবাধ্যতার ঢেউ ওঠাই গণআন্দোলনের সার্থকতা। স্বৈরাচার বনাম সাধারণ মানুষের এই মুখোমুখি লড়াইতে নির্যাতিতার সঠিক বিচার, সমস্ত দোষীদের শাস্তি এবং এই ঘটনা পরম্পরায় যে সমস্ত দুর্নীতি উঠে আসছে তার প্রকৃত তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি আসলে এই গণআন্দোলনকে পরিপূর্ণতা দেবে।
 

Comments :0

Login to leave a comment