tmc

খাস কলকাতায় শেড করে রাস্তা দখল করলো তৃণমূল

রাজ্য কলকাতা

ফুটপাথ খালি করতে জেসিবি দিয়ে হকার উচ্ছেদ করছে রাজ্য সরকার। আর অন্যদিকে শেড দিয়ে রাস্তা দখল করছে শাসক দলের নেতা।

কলকাতা পৌরসভার ১০৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে রাস্তা শেড দিয়ে দখল করলো শাসক দল। লোকসভা ভোটের পর রামলাল বাজার তারাপীঠ সংলগ্ন ওই রাস্তায় পুরো শেড দেওয়া হয়। নিয়ম অনুযায়ী কোন রাস্তায় এই ভাবে শেড দেওয়া যায়। অভিযোগ এই সব আইনের পরোয়া না করেই এই শেড দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তরুণ মণ্ডল।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন পাকা পাকি ভাবে শেড দেওয়ার আগে বছর দশেক অস্থায়ী ছাউনি ছিল। মানে প্যান্ডেল। সকাল থেকে রাস্তায় চেয়ার পেতে দলের লোকদের নিয়ে অর্ধেক রাস্তা জুড়ে বসে থাকতেন তৎকালিন ১০৫ এর তৃণমূল কাউন্সিলর তরুণ মণ্ডল। সন্ধ্যার পর থেকে ওখানে ভীড় জমাতেন স্থানীয় প্রমোটাররা। তৃণমূল নেতার যাতে কোন অসুবিধা না হয় তার জন্য সেখানে আছে পাখা এবং আলো। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যাক্তি বলেন, ‘‘অনেক দিন ধরেই এই ভাবে রাস্তা আটকে বসে থাকে। কোন বড় গাড়ি গেলে যেতে অসুবিধা হয়। কেউ কিছু বলতে পারে না ভয়ে। দলের লোকেরা পার্টি অফিসে বসে সে রাস্তায় কেন বসে থাকবে?’’

উল্লেখ্য ২০১৭ সালে এসএফআই জেলা সম্মেলন উপলক্ষে ছাত্রদের একটি মিছিল ওই পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে গেলে হামলা চালায় তৃণমূল। আক্রান্ত হন ছাত্র ছাত্রীরা। সেই ঘটনার নেতৃত্ব দেন তরুণ মণ্ডল। ওই রাস্তায় কোন মিছিল বা দেওয়াল লিখতে দেওয়া হয় না সিপিআই(এম) কর্মীদের। থানা থেকে দেওয়া হয় না মিছিলের অনুমতি।

এই বিষয় তরুণ মণ্ডলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি। তবে স্থানীয় এক তৃণমূল কর্মী জানিয়েছেন মানুষের কথা ভেবে তাদের এই কাজ। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের এখানে মা ক্যান্টিন চলে। অনেকে খাবার নিতে আসেন। তাদের যাতে রোদে, বৃষ্টিতে কোন অসুবিধা না হয় তাই এই শেড।’’

মা ক্যান্টিন যেখানে আছে তার থেকে অনেকটাই দুরে এই শেড। তাই ক্যান্টিনে খাবার নিতে আসা ব্যাক্তিদের কোন উপকারে আসে না এই শেড।

সিপিআই(এম) হালতু এরিয়া কমিটির সম্পাদক মানস মজুমদার বলেন, ‘‘কাগজে হকার উচ্ছেদের খবর, দুরদর্শনে আসছে বুলডোজার দিয়ে দোকান ভেঙে ফুটপাথ - রাস্তা দখল মুক্ত করার ছবি। এদিকে শাসকদলের পার্টি অফিসের সামনে দিব্যি রাস্তার উপর দিয়ে স্থায়ী ছাউনি তৈরী হয়েছে প্রশাসনের নাকের ডগায়। গত ৪ জুন সিপিআই(এম) হালতু এরিয়া কমিটির দপ্তর দুর্বৃত্তরা ভাঙার পর কসবা থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হলেও, এখনও পুলিশ কোনও দুর্বৃত্তকে গ্রেপ্তার করেনি।’’

Comments :0

Login to leave a comment