বোমা বাঁধার সময় বিস্ফোরণ, ঘটনায় নিহত এক। গুরুতর জখম ৩ জন। শনিবার দুপুরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভারতীর মোড়ের কাছে তীতকুমার গ্রামে ঘটনাটি ঘটেছে। বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। জখম তিনজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া। হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন এক জনের মৃত্যু হয়। বাকি তিনজনের চিকিৎসা চলছে বাঙুর হাসপাতালে। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
রাজ্যের সর্বত্র বোমা বিস্ফোরণ চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন যতোই এগিয়ে আসছে বিস্ফোরণ যেন ততোই বাড়ছে। বামার হাত থেকে রেহাই পাচ্ছে না সৌশবও। বোমা বিস্ফোরণে প্রাণ হারিয়েছেন সাধারণ মানুষও। সব জেনে বুঝেও নিরব প্রশাসন।
এদিন ঝাড়গ্রামে সিপিআই(এম) জেলা কমিটির ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকে যোগ দেন সেলিম। সেখানেই সাংবাদিক সম্মেলনে বাসন্তীতে বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে এক প্রশ্নে সেলিম বলেন, ‘‘গোটা রাজ্যকে জতুগৃহ বানিয়েছে তৃণমূল। শিশুরা বিস্ফোরণে মারা যাচ্ছে খেলতে গিয়ে। সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন। গত মার্চে বগটুইয়ের সময় তো মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিসের ডিজি’কে পনের দিনের মধ্যে সব অস্ত্র বের করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তার কী হলো। পুলিশমন্ত্রী এবং ডিজি অপদার্থ।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন বেলার দিকে বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে বাসন্তীর ভারতীর মোড় এলাকা। এরপরই গ্রামবাসীরা ছুটে গিয়ে দেখেন সেখানে মাঠের মাঝখানে তিনজন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। জানা যায়, ওখানে মণিরুল খান নামে একজনের বাড়িতে বোমা বাঁধা চলছিল। সেখানেই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে। গ্রামের মানুষের দাবি এই বোমা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলেই একজনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের অভিযোগ পুলিশ আসার আগেই সেই দেহ সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাদের দাবি ঘটনাস্থলে আরো অনেকেই ছিল। বাসন্তী থানার তরফে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। মনিরুল খান নামে এক জনের বাড়িতে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেখানেই আচমকা বিস্ফোরণ হয়।
গ্রামের মানুষের বক্তব্য, বোমা বিস্ফোরণের তীব্রতায় এলাকা কেঁপে ওঠে। তাঁরা অভিযোগ করে বলেছেন, আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মনজুর খান, উপপ্রধান সুনীল খান’র নেতৃত্বে বোমা বাধা হচ্ছিল। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বাসন্তী থানার পুলিশ। ঘটনার তদন্ত চলছে বলে এক পুলিশ আধিকারিক জানান। তবে এই ঘটনায় এদিন রাত পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
Comments :0