Kolkata Port Hospital

হাসপাতাল বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে তীব্র লড়াইয়ের ডাক বন্দর শ্রমিকদের

রাজ্য

তারাতলার কাছে কলকাতা বন্দর হাসপাতালের সামনে যৌথ বিক্ষোভ বুধবার।

ঘুরপথে বেসরকারি হাতে কলকাতা বন্দরের হাসপাতাল তুলে দিতে নেমেছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিক-কর্মীরা নেমেছেন সেই প্রক্রিয়া ঠেকাতে। বুধবার ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজুদুর ইউনিয়নের মতো একাধিক সংগঠন ফের দিলেন দাবিপত্র। তারাতলার কাছে বন্দর হাসপাতালের সামনে হয়েছে সভাও। 
বেসরকারিকরণের বিরুদ্ধে টানা লড়াইয়ে রয়েছে কলকাতা বন্দরের শ্রমিক এবং কর্মচারীরা। স্থায়ী কর্মীরা লড়ছেন ঠিকা এবং চুক্তি শ্রমিকদের সঙ্গে নিয়ে। 
এদিন সভায় সিআইটিইউ অনুমোদিত ক্যালকাটা পোর্ট অ্যান্ড শোর মজদুর ইউনিয়নের সম্পাদক সমর মণ্ডল বলেছেন, ২ তারিখ পিপিপি মডেলের জন্য দরপত্র খুলবে বলে ঠিক করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। একজোটে ঠেকাতে হবে এই প্রয়াস।
সংগঠনের কার্যকরী সভাপতি ধীমান ঘোষ বলেছেন, স্বাস্থ্যকে পণ্য মনে করছে কেন্দ্রের সরকার। তাই পিপিপি মডেলের নামে বেসরকারি হাতে তুলে দিতে নেমেছে বন্দর হাসপাতালকে। আমরা এই দৃষ্টিভঙ্গিরই বিরুদ্ধে।
সংগঠনের সহ সভাপতি ইন্দুপ্রকাশ পাল বলেছেন, ২০১৮ থেকে এই প্রক্রিয়ায় নেমেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। লোভনীয় জমি বেসরকারি হাতে তুলে দিতে চাইছে। বন্দর শ্রমিক এবং কর্মচারীদের চিকিৎসার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে।
রাজনৈতিক অবস্থানে ভিন্নতা থাকলেও হাসপাতাল বাঁচানোর লড়াইয়ে শামিল হয়েছে শ্রমি-কর্মীদের বিভিন্ন সংগঠন। বাকি যারা লড়াইয়ের বাইরে রয়েছে, তাদেরও শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে এদিন হাসপাতাল চত্বরের ঠিক বাইরে এই সভায়। 
এদিন শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জি বন্দরের চেয়ারপার্সনকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, সব ইউনিয়ন এবং পেনশন প্রাপক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসুন। হাসপাতালের মানোন্নয়ন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। বাতিল করতে বলেছেন পিপিপি মডেলের নাম করে বেসরকারিকরণের পরিকল্পনা।
কেন্দ্রের সরকারের নীতিতে বন্দরের বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া চলছে নানা কায়দায়। হাসপাতালের ক্ষেত্রে বলা হয়েছে যে ‘সুপার স্পেশালিটি’ মানের করা হবে। তার জন্য পিপিপি মডেল। এদিন বক্তারা বলেছেন, হাসপাতালের মানোন্নয়ন আমরা সকলেই চাইছি। কিন্তু তার নাম করে যে প্রক্রিয়া নেওয়া হচ্ছে তাতে শেষ পর্যন্ত বন্দরের শ্রমিক কর্মচারীদের থেকে এই হাসপাতালে চিকিৎসার অধিকার কেড়ে নেওয়া হবে।

Comments :0

Login to leave a comment