বিশ্ব ক্যান্সার দিবসে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং প্রাথমিক সনাক্তকরণে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চল জুড়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
দ্রুত চিকিৎসা, উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করার কথাও বলা হয়েছে হু’র পক্ষ থেকে। ক্যান্সার বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর দ্বিতীয় প্রধান কারণ। ২০২০ সালে আনুমানিক ৯.৯ মিলিয়ন মানুষ গোটা বিশ্বে ক্যান্সারে মারা গিয়েছেন বলে এদিন জানিয়েছেন দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হু’র আঞ্চলিক পরিচালক ডাঃ পুনম ক্ষেত্রপাল সিং।
২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে, বিশ্বব্যাপী ক্যান্সার আক্রান্তের সংখ্যা ২৬ শতাংস বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি ক্যান্সারে মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে ২১ শতাংশ।
বিশ্বব্যাপী ক্যান্সারে মৃত্যুর আনুমানিক কারণ তামাক ব্যবহার, হাই বডি মাস ইনডেক্স, অ্যালকোহল ব্যবহার, কম ফল এবং সবজি খাওয়া এবং শারিরীক কাজ কম করার হন্য।
ডা: সিং এদিন বলেছেন, ‘‘হু’র পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ২০২০ সালে আনুমানিক ২.৩ মিলিয়ন মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং ১.৪ মিলিয়ন এই রোগে মারা গিয়েছেন।’’
২০২০ সালে, ফুসফুস, স্তন এবং জরায়ুর ক্যান্সারে ৪ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছেন।
২০১৪ সাল থেকে দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া জুড়ে ক্যান্সার প্রতিরোধ এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ডা: পুনম ক্ষেত্রপাল সিং।
তামাকের ওপর নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য সরকার গুলির পক্ষ থেকে যাতে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হয় তার আবেদনও করেছেন তিনি।
এর পাশাপাশি ক্যান্সারের সাথে মোকাবিলা করার জন্য স্বাস্থ্য খাতে ব্যায় বরাদ্দ বাড়ানে প্রয়োজন বলে মনে করেন ডা: সিং। তার কথায় ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য সরকার গুলির বিশেষ নজর দেওয়া প্রয়োজন যাতে করে রোগ সনাক্ত করা এবং তার চিকিৎসা শুরু করার ক্ষেত্রে কোন গাফিলতি না থাকে। তার জন্য প্রয়োজনে সরকার গুলির উচিত সরকারি টাকায় আলাদা পরিকাঠামো তৈরি করার।
Comments :0