জয়ন্ত সাহা: মাথাভাঙা
কোচবিহারের নয়ারহাটের ঘরছাড়া প্রতিবাদী লোকশিল্পীর নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন করুন পুলিশ। সোমবার ‘আক্রান্ত আমরা’র পক্ষ থেকে রাজ্য পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দিয়ে এই দাবি জানানো হয়েছে। রবিবার কোচবিহারের নয়ারহাটের ঘরছাড়া প্রতিবাদী লোকশিল্পী মণীন্দ্র বর্মণের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যদের সাথে কথা বলেন ‘আক্রান্ত আমরা’র প্রতিনিধিরা। এদিন ‘আক্রান্ত আমরা’র যুগ্ম-আহ্বায়ক অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র ও অরুণাভ গাঙ্গুলি পুলিশকে রাজধর্ম পালনের কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, সংবিধান অনুযায়ী জীবন ও জীবিকার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার ফিরিয়ে দেবার দায়িত্ব পালন করুক পুলিশ।
এদিন ‘আক্রান্ত আমরা’র পক্ষ থেকে এ খবর জানিয়ে বলা হয়, আমরা পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেলকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছি প্রতিবাদী লোকশিল্পীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের মুখে শুনেছি ফেসবুকের প্রতিবাদী গান ডিলিটের জন্য পুলিশ ও শাসক দলের নেতারা প্রতিদিন কিভাবে হুমকি দিচ্ছে। পরিবারের লোকেরা আত্মগোপনে থাকা শিল্পীর ফেসবুকে পোষ্ট করা বেশ কিছু পোস্ট দেখিয়েছেন যাতে স্পট ওই শিল্পী নিরাপত্তাহীনতার কারণেই ঘরছাড়া রয়েছেন। শিল্পী মণীন্দ্র বর্মণের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় শাসক দলের নেতারা যা করেছেন তা সংবিধানবিরোধী চিঠিতে প্রশ্ন করা হয়েছে, আমরা কি জঙ্গলের রাজত্বে বাস করছি? নাকি ভদ্র, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশে বাস করছি?
‘আক্রান্ত আমরা’র পক্ষ থেকে মণীন্দ্র বর্মণকে দ্রুত ঘরে ফেরানোর পাশাপাশি তাঁর পরিবারের সব সদস্যদের নিরাপত্তার দাবি করা হয়েছে এবং শিল্পী যাতে নিজ পেশায় স্বচ্ছন্দে বিচরণ করতে পারেন তা সুনিশ্চিত করার দাবি করা হয়েছে।
অধ্যাপক অম্বিকেশ মহাপাত্র এদিন জানান, কোচবিহারের পুলিশ সুপার, মাথাভাঙা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মহকুমা পুলিশ আধিকারিক ও মাথাভাঙার পুলিশের সার্কেল ইনস্পেক্টরকেও চিঠির কপি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা আশা রাখছি, সংবিধান মেনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
Comments :0