বিশ্বনাথ সিংহ - রায়গঞ্জ
বালি পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিএলআরও সহ তিন জন। বালি পাথর মাটি পাচারের মাথা তৃণমূল। এ রাজ্যের সমস্ত নদীর বালি খাদান মাটি বিক্রি করায় তৃণমুল মদতপুষ্ট মাফিয়াদের বিরতিহীন ব্যবসা চালু সর্বত্র। পাচার কাজে বাধা পেলেই হামলা। বালি মাফিয়াদের দাপটে ত্রস্ত কালিয়াগঞ্জ রায়গঞ্জ হেমতাবাদ করণদিঘি। বাসিন্দাদের অভিযোগ, শাসক দলের ছত্রছায়ায় রাধিকাপুরের ফরিদপুরের বাসিন্দা বালি মাফিয়া সাহিদ আলম ও মহিদুর রহমানের অঙ্গুলিহেলনেই কালিয়াগঞ্জ ব্লকের শিবকালীঘাট এবং ডোডাঘাটকে কেন্দ্র করেই দুষ্কৃতীরা তাদের রাজত্ব বিস্তার করেছে। একের পর খবরের জের, মানুষের ক্ষোভে বালি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাতে বাধ্য হলো প্রশাসন।
গণশক্তি খবরে জেরে বুধবার বালি পাচার রুখতে গিয়ে আক্রান্ত হলেন বিএলআরও। স্থানীয়দের প্রতিরোধে প্রাণে বাঁচলেন প্রশাসনিক আধিকারিক।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ বালির ঘাটের রেইড করতে যায় করণদিঘির ভূমি সংস্কার আধিকারিক গৌড় সোরেন। সেই সময় নদীতে ট্রাক্টর দিয়ে বালি তোলার কাজ চলছিল। সেখান থেকে ফেরার পথে ঝাপড়তলাতে রাস্তায় একটি বালি ভর্তি লড়িকে দেখতে পেয়ে বৈধ কাগজপত্র দেখতে চান। লরির চালক বিএলআরও কে বলেন, ‘ আমি গাড়ি চালাই, মালিক আছে’। চালক গাড়ির মালিক কে ফোন করছে বলে জানান। করণদিঘী ভূমি সংস্কার আধিকারিক গৌড় সরেন, একজন আমিন, আর একজন গ্রুপ ডি কর্মচারী গাড়ির চালককে নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকেন। কিছুক্ষনের মধ্যেই দুটি বাইকে পাঁচ জন এসে পাশে বিএলআরও সহ তিন জনকে বেধরক মারধর করে বলে অভিযোগ। পাশে একটি কাঠ চেড়াই মিলের থেকে বাটাম নিয়ে বেধরক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। গ্রামের মানুষ ছুটে গেলে ঘটনাস্থল থেকে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। ঘটনায় গুরুতর জখম তিন জনের মাথা ফেটে যায়। স্থানীয়রাই তাদের প্রাথমিক শুশ্রূষা করেন। পরে তাদের রায়গঞ্জ গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দেন।
Comments :0