FACEBOOK FRAUD

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট জালিয়াতিতে বিধাননগরে ধৃত ৮

জেলা

উদ্ধার ল্যাপটপ, মোবাইল বারাকপুর কমিশনারেটে।

ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিয়ে ১ কোটি টাকার জালিয়াতির দায়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করল বারাকপুর পুলিশ। এই জালিয়াতিতে প্রধান অভিযুক্ত ধীমান ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বিধাননগরের একটি গেস্ট হাউস থেকে। সাইবার জালিয়াতি সংক্রান্ত বিভিন্ন ধারায় ধৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।  
পুলিশ জানিয়েছে, গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযোগ দায়ের হয়। পাঁচ মাস ধরে তদন্ত চলেছে। প্রধান অভিযুক্ত ধীমান ভট্টাচার্য এমবিএ পাশ করার পর ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করত। জানতে পারে যে কিছু লোক ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভাড়া নেয়। ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে গেমিং অ্যাপ ডাউনলোড করা হয়। তা থেকে আর্থিক লেনদেনও হয়। এই লেনদেনের কিছু অংশ যার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তাকে দেওয়া হয়। 
জেরায় প্রাথমিক তথ্যের ভিত্তিতে পুলিশ বলেছে, ধীমান ভট্টাচার্য নিজে ১.৮ শতাংশ হারে টাকা পাওয়ার চুক্তিতে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দেয়। ফেসবুকে লিঙ্ক থেকেই একটি গ্রুপে যুক্ত হয়। গ্রুপে টেলিগ্রামের লিঙ্ক পাঠানো হয়। লিঙ্কের মাধ্যমে একজনের সঙ্গে পরিচিত হয়। তার মাধ্যমেই টাকা পেত। এরপর সে অন্যের অ্যাকাউন্ট ভাড়া নিতে নামে। তাদের ১.৩ বা ১.৫ শতাংশ দিয়ে বাকি টাকা তার নিজের হবে, এই বোঝাপড়া করে। 
পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের স্বয়ং মাইতির সঙ্গে যোগাযোগ করে ধীমান।  স্বয়ং মাইতিও অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিতে রাজি হন লেনদেনের ১.৫ শতাংশ পাওয়ার চুক্তিতে। বারাকপুরের একটি হোটেলে স্বয়ংকে ডেকে নেয় ধীমান। সারাদিনে ১ কোটি টাকার ওপরে লেনদেন করে। ২৫ জানুয়ারিতে এই লেনদেন হয়। কিন্ত স্বয়ং টাকা পাননি। মাঝখান থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট চলে যায় ধীমানের কবজায়। এরপরই স্বয়ং মাইতি পুলিশে জালিয়াতির অভিযোগ জানান। 
ধীমান ভট্টাচার্যকে পুলিশ হেপাজতে নিয়ে জেরা চলছে। বেশ কিছু এটিএম কার্ড, পাশ বই, মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। দুজন মহিলা সহ 6 জনকে গ্রেফতার করে মোট আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উদ্ধার করা হয় ১১ টি মোবাইল ফোন, 8টি এটিএম কার্ড, দুটি ল্যাপটপ, ১৭টি সিম কার্ড এবং নগদ ৮৩ হাজার টাকা। ২০২৩ সাল থেকে এমন বড় দশটি লেনদেন অন্যের অ্যাকাউন্ট ভাড়া করে চালানো হয়েছে। ধীমান টালিগঞ্জের বাসিন্দা। 
বিভিন্ন গেমিং অ্যাপ ডাউনলোড করার জন্য অ্যাকাউন্ট ভাড়া করা হয়।  টোল ফ্রি নম্বর ‘1930’ ডায়াল করলে সাইবার ক্রাইম সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যায় বলে মনে করিয়েছে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট। সাংবাদিক সম্মেলনে ছিলেন দেবাশিস বিশ্বাস, গণেশ বিশ্বাস, শঙ্কর কুমার পাল সহ বারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকরা।

Comments :0

Login to leave a comment