Kolkata High Court

নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিষেকের সম্পত্তির হিসাব চাইল আদালত

রাজ্য

Kolkata High Court

 

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূল সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জির সম্পত্তির হিসাব চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার আদালত নির্দেশ দিয়েছে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও সহ সব ডিরেক্টরের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে এক সপ্তাহের মধ্যে জমা দেবে ইডি। এদিন বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর নির্দেশে আরও বলেছেন, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় টলিউডের যে সমস্ত অভিনেতা-অভিনেত্রীর নাম পাওয়া গেছে তা আদালতকে জানাতে হবে। একই সঙ্গে তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিতে হবে। আগামী ২১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই হিসাব আদালতে জমা করতে বলেছে আদালত। 
স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’র নাম সামনে এসেছে। এদিন আদালত বলেছে, এই সংস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট আদালত দেখতে চায়। এই সংস্থা কবে সরকারি নথিভুক্ত হয়েছিল বা রেজিস্ট্রেশন কবে হয়েছিল তাও আদালত জানতে চেয়েছে। বুধবারই অভিষেক ব্যানার্জি ইডির দীর্ঘ জেরার উত্তর দিয়েছে। তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও তিনি নিজেই। এখনও তিনি ওই পদে রয়েছেন। এই সংস্থার কাজ কী ছিল তা এখনও পরিষ্কার করেনি ইডি। 
লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’র অফিসে তল্লাশি চালিয়ে ইডি যে সমস্ত নথি উদ্ধার করেছে তা দেখেই তদন্তকারী সংস্থা বলেছে, এই সংস্থা নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত। আগেই এই সংস্থার কর্মচারী সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে (কালীঘাটের কাকু) গ্রেপ্তার করেছে ইডি। তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের একটি পৃথক কোম্পানির সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছে। কালীঘাটের কাকুর এই আলাদা কোম্পানির নাম এসডি এন্টারপ্রাইজ। আদালতকে জানানো হয়েছে, এই সংস্থার সঙ্গে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ৯৫ লক্ষের কিছু বেশি টাকা লেনদেনের হিসাব উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বৃহস্পতিবার নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি সিনহা মন্তব্য করেছেন, এই সংস্থা কবে তৈরি হয়েছে এর কাজ কী এটা জানা দরকার। সংশ্লিষ্ট সংস্থার আধিকারিকদের সম্পর্কে তথ্য সামনে আসা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, এই সংস্থার এক সময় ডিরেক্টর ছিলেন অভিষেক বানার্জির স্ত্রী রুজিরা ব্যানার্জি। এই সংস্থার মাথায় রয়েছেন অভিষেক ব্যানার্জির পরিবারের লোকজন। তাঁর বাবা এবং মাকে ডিরেক্টরের পদে বসানো হয়েছিল। সংস্থার অন্যান্য আধিকারিকদের হদিশ তদন্তকারী সংস্থার হাতে এসেছে। এব্যাপারে সমস্ত তথ্য আদালতে জমা পড়ার পরই বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দিয়েছেন সংস্থার সিইও সহ ডিরেক্টরদের সম্পতির হিসাব আদালতে জমা করতে হবে।
এদিকে, এদিন কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে বিরক্ত করা এবং তদন্তের কাজে হেনস্তার অভিযোগ এনেছে ইডি। তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী ধীরাজ ত্রিবেদী। এদিন আদালতে কলকাতা পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার আবেদন জানান। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এব্যাপারে রাজ্যের আইনজীবীর সঙ্গে আলোচনা করেন। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ১৬টি ফাইল ডাউনলোড করার পর থেকেই  কলকাতা পুলিশ ইডি বারেবারে চিঠি পাঠিয়ে বিরক্ত করছে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, এই চিঠির ব্যাপারে ইডি চুপ করে থাকুক। কোনও উত্তর দিতে হবে না। এদিন বিচারপতি সিনহা মৌখিকভাবে বলেন, এমন চিঠি পাঠানোর প্রয়োজন কী। কলকাতা পুলিশ চিঠি পাঠানো থেকে বিরত থাকুক।

 

Comments :0

Login to leave a comment