পুলিশের ছাতার তলায় দাঁড়িয়ে রাজ্যে দুর্নীতি আর দু্‌ষ্কৃতীরাজ কায়েম রাখতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের মাথায় ছাতা ধরছে বিজেপি। রাজ্যে দুই দলের মদতে বিভাজনের রাজনীতি হচ্ছে। রাজ্যের যুবক যুবতীরা বিভাজন চাইছে না। কাজ চাইছে। ভিনরাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে। লালগোলায় মিছিল থেকে বললেন মীনাক্ষী মুখার্জি। 
রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতির কারণেই চাকরি গিয়েছে শিক্ষক, শিক্ষিকাদের। তৃণমূলের দুর্নীতিকে তোল্লাই দিয়েছে কেন্দ্রে বিজেপির সরকার। তাই জেলের বাইরে চাকরি চোরেরা। আর রাজ্যে বিজেপিকে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির জমি দিয়েছে তৃণমূল। দুই সরকারের হাতে আক্রান্ত রুজি। রাজ্যে কাজের অধিকার চাই যুবক যুবতীদের। ভিনরাজ্যে কাজে চাই নিরাপত্তা। শনিবার মুর্শিদাবাবাদের লালগোলায় ডিওয়াইএফআই’এর আহ্বানে মহামিছিল থেকে উঠে এল এই দাবিই। 
ঈদে বাড়ি ফেরা পরিযায়ী শ্রমিক থেকে একশো দিনের কাজের অধিকার থেকে বঞ্চিত মানুষ। চাকরিপ্রার্থী থেকে তৃণমূলের জমি মাফিয়াদের অত্যাচারে সবহারানো কৃষকরা শামিল হলেন মিছিলে। এদিন লালগোলা এমএন অ্যাকাডেমির সামনে থেকে শুরু হয় মিছিল। লালগোলা বাজার পরিক্রম করেমিছিল শেষ হয় ডাকবাংলো মোড়ে। সেখানে সেমিনার হয়। ‘‘পরিযায়ী শ্রমিকঃ পুঁজিবাদী অর্থনীতির বিষময় ফল” শীর্ষক সেমিনারে আলোচনা করেন তপন সামন্ত। মিছিলে ডিওয়াইএফআই রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখার্জি ছাড়াও ছিলেন জেলা সম্পাদক সন্দীপন দাস, সভাপতি সৈয়দ নুরুল হাসান।
ডিওয়াইএফআই নেতৃত্ব জানান, রাজ্যজুড়েই যুবক যুবতীদের দাবি নিয়ে লড়ছে ডিওয়াইএফআই। সেই লড়াইকে এগিয়ে নিয়ে যেতে এই বছর ২১ থেকে ২৩ জুন বহরমপুরে হবে ডিওয়াইএফআই’র ২০ তম রাজ্য সম্মেলন। সেই সম্মেলনের সঙ্গে জেলার সব পরিবারকে জুড়ছে চাইছে ডিওয়াইএফআই।