Dengue Jalpaiguri

বাড়ছে আক্রান্ত, ডেঙ্গুতে উদ্বেগ জলপাইগুড়িতে

জেলা

রংধামালি স স্বাস্থ্যকেন্দ্রের বাইরে জঙ্গল ঝোপঝাড় জেলায় বাড়ছে ডেঙ্গু উদাসীন স্বাস্থ্য দপ্তর।।

জলপাইগুড়ি ও শিলিগুড়িতে প্রায় প্রতিদিনই মিলছে ডেঙ্গু আক্রান্তের খোঁজ । বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা

জলপাইগুড়ি জেলার মালবাজার সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল এবং জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অন্তত ছয় জন। 

জেলার মালবাজার ব্লকে এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন অন্তত ১২ জন । মেটেলী , ক্রান্তি, নাগরাকাটা, রাজগঞ্জ, ময়নাগুড়ি ব্লকে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা । 

জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পৌর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ১২ ।

স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, জেলার মালবাজার, মেটেলী, ক্রান্তি ও নাগরাকাটা ব্লক, রাজগঞ্জ ব্লক ও জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের ডেঙ্গু পরিস্থিতি যথেষ্টই উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠছে। এই ব্লকগুলিতে ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে আরও বেশি জোর দিতে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য কর্তারা।

জলপাইগুড়ি পৌরসভা এলাকার ডেঙ্গি পরিস্থিতি এখনও পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের । পৌরসভার চেয়ারপার্সন পাপিয়া পাল বলেন, " ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় বড় ওয়ার্ডগুলিতে প্রয়োজনে ভেক্টোর কন্ট্রোল টিমের কর্মী সংখ্যা বাড়ানো হবে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে জ্বরে আক্রান্তদের খুঁজে বের করার চেষ্টাও চলছে । কোথাও কোনও বাড়িতে জমা জল রয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।"

 ডুয়ার্স এলাকায় মশার উপদ্রব বরাবরই একটু বেশি। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় নর্দমা ও জলাশয়‌গুলো‌তে এবার ছাড়া হচ্ছে লক্ষাধিক 

গাপ্পি মাছ। 

মূূূলত নর্দমা ও যে সমস্ত জলাশয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জল জমে থাকছে সেখানেই ছাড়া হচ্ছে মশার লার্ভা বিনাশকারী গাপ্পি মাছ। মশার উৎপত্তিস্থলে ঘুরে ঘুরে লার্ভা খেয়ে প্রাথমিক স্তরেই ধ্বংস করে দেয় এই মাছ। ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়ার মশা ধংস করার ক্ষেত্রে গাপ্পি মাছ বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। জলপাইগুড়ি জেলার অন্তর্গত শিলিগুড়ি পুর এলাকার ওয়ার্ডগুলির ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলার কাজে গতি বাড়াতে জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট পৌর প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের। এই ক্ষেত্রে কাজের কোনও গাফিলতি রয়েছে কিনা তাও নজরে রাখা হচ্ছে বলে দাবি স্বাস্থ্য কর্তাদের। 

জলপাইগুড়ি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অসীম হালদার বলেন,  " ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় ভেক্টর কন্ট্রোল টিমের কাজে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে হটস্পট এলাকা চিহ্নিত করে ডেঙ্গি মোকাবিলার কাজে গতি বাড়ানোর কথাও বলা হয়েছে।"

Comments :0

Login to leave a comment