China Covid

রদবদল করলেও কোভিড-সতর্কতা শিথিল করছে না চীন

আন্তর্জাতিক

China Covid

কোভিড সংক্রমণ নতুন করে দেখা দেওয়ায় চীন তা মোকাবিলায় সার্বিক ব্যবস্থাই নিচ্ছে। সরকারি সূত্রে জানানো হয়েছে, জনগণের জীবন ও স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিয়েই নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ২০টি পদক্ষেপকে আরও সুসংবদ্ধ করা হয়েছে যাতে যেখানে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি সেখানে অগ্রাধিকার দেওয়া যায়। আবার, অর্থনীতি ও সামাজিক উন্নয়নে কোভিডের প্রভাবকে ন্যূনতম স্তরে নামিয়ে আনা যায়। 


কোভিড বিধিকে কেন্দ্র করে চীনে বিক্ষোভ হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই বিধিকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করার জন্য। যেখানে যেমন প্রয়োজন তেমন ব্যবস্থা নিতে হবে। বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে এই রদবদল কোভিড বিধি শিথিল করাও না, চুপচাপ বসে থাকাও না, যেমন চলছে তেমনই চলুক তা-ও নয়। হয় সম্পূর্ণ লকডাউন অথবা কিছুই না করা- এই দুই বিকল্পের কোনোটিই গ্রহণযোগ্য নয়। 

 


চীনে অতিরিক্ত কঠোরতা প্রয়োগ করা হচ্ছে, এই ধারণা ছড়ানো হয়েছে। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, এখন যা পরিস্থিতি তাতে পাঁচ দিনের মধ্যে পজিটিভ কেস চিহ্নিত করা যাবে। ভাইরাস সংক্রমণ সর্বোচ্চ আট দিন সময় নেবে। এই অবস্থায় সাধারণভাবে পাঁচ দিন নির্দিষ্ট স্থানে নিভৃতবাস এবং তিনদিন বাড়িতে থাকা উচিত। নিভৃতবাসের সময় দশদিন থেকে কমিয়ে আনা হয়েছে। জনগণের স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দেবার নীতির ভিত্তিতে পরিস্থিতি সাপেক্ষে বিধি প্রয়োগের কথা বলা হয়েছে। 

 

 

যখন তখন স্কুল বন্ধ, উৎপাদন স্থগিত রাখা, পরিবহণের ওপরে বিধিনিষেধ চাপানো বন্ধ করতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 
সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস এখনও মিউটেট করছে, অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে। কোনও বিধিই পরিবর্তনের ঊর্ধ্বে নয়। গত তিন বছর ধরে চীন জনগণের জীবন রক্ষায় এই সংক্রমণ মোকাবিলায় সর্বশক্তি প্রয়োগ করেছে। ১৪০ কোটি জনসংখ্যার দেশে এই ব্যবস্থা না নিলে বিপর্যয় নেমে আসতে পারত। 

 

 


চীনের স্বাস্থ্য কমিশন কোভিড বিধি প্রয়োগ করতে ওয়ার্কিং গ্রুপকে স্থানীয় স্তরে পাঠিয়েছে। এই বিধি প্রয়োগে কিছু সমস্যা হয়েছে। তা সংশোধন করা হবে। ‘সকলের জন্যই একই বিধি’ বা বাড়াবাড়ি করার অর্থ নেই। বেজিঙের সবচেয়ে আক্রান্ত এলাকা চাওইয়াঙে রবিবার ৭৫টি এলাকা থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাধারণভাবে ২৪ ঘণ্টার বেশি কোনও বিধিনিষেধ প্রয়োগ করা হবে না। কোন এলাকায় নিভৃতবাস দরকার হবে, তা নির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে হবে। উরুমকিতে বিক্ষোভ হয়েছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সেখানে রেল, বিমান চলাচল, বাস, ট্যাক্সির পরিষেবা সোমবার থেকে ধীরে ধীরে চালু করা হচ্ছে। শিনজিয়াঙেরই আরও কয়েকটি শহর থেকে বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

Comments :0

Login to leave a comment