Sujan Chakraborty at Purba Medinipur

মানুষ জোট বাঁধছেন, ভোট লুট করা যাবে না: চক্রবর্তী

রাজ্য

Sujan Chakraborty at Purba Medinipur

রামশঙ্কর চক্রবর্তী


গতবারের মতো হবে না এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচন। মানুষ জোট বাঁধছেন, ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন। নিজেদের ভোট দেওয়ার অধিকার রক্ষা করবেন মানুষ। ভোট লুট করে পঞ্চায়েত দখল করা যাবে না।
মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুরে সিপিআই(এম)’র ডাকে সমাবেশে একথা বলেন সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী। এদিন সিপিআই(এম) চন্ডীপুর এরিয়া কমিটির ডাকে সমাবেশ হয় বরোজ বাজারে। সুজন চক্রবর্তী ছাড়াও বক্তব্য রাখেন নিরঞ্জন সিহি, মীনাক্ষী মুখার্জি, মহাদেব মাইতি, আশিস গুছাইত, মঙ্গলেন্দু প্রধান। উপস্থিত ছিলেন পার্টি নেতা মনিরুল ইসলাম, বলাই গুছাইত সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। সভাপতিত্ব করেন সুজিত জানা। 
চক্রবর্তী বলেন, জীবনকৃষ্ণ সাহা মোবাইল ছুঁড়ে ফেলেছে। একদিন মমতা ব্যানার্জি তৃণমূলকেই ছুঁড়ে ফেলবেন, সেদিন আর বেশি দেরি নেই। ভাঙড়ে পার্থ চ্যাটার্জির বাংলোর পাশের জমিতে নথি পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছিল। সিবিআই গিয়ে আগুন নিভিয়ে কিছু কাগজ উদ্ধার করেছে। তাহলে কি প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? শ্রীমতি চেষ্টা করুন পালাতে পারবেন না। পিসি-ভাইপো দু’জনেরই গন্তব্য হবে জেল। 


এদিন সভা শেষে তৃণমূল ও বিজেপি ছেড়ে ১৩২টি পরিবার সিপিআই(এম)-এ যোগ দিয়েছে।
এদিন সকালে পার্টির নন্দীগ্রাম ২ এরিয়া কমিটির ডাকে সভা হয়। সেখানে বক্তব্য রাখেন মিনাক্ষী মুখার্জি, পরিতোষ পট্টনায়েক, প্রবীণ বামপন্থী নেতা অমৃত মাইতি। সভাপতিত্ব করেন রামহরি পাত্র।
চন্ডীপুরের সভায় সুজন চক্রবর্তী বলেন শিক্ষামন্ত্রীর বান্ধবীর বাড়ি থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার, শিক্ষামন্ত্রী জেলে, বিধায়করা গ্রেপ্তার হয়ে রয়েছে। রাজ্যের শাসকদলের এখন পরিচয় চোর দুর্নীতিগ্রস্ত।
যারা ভাবছেন ২০১৮’র পঞ্চায়েতের মতো গুন্ডামি করব তারা ভুল ভাবছেন। মানুষ নিজেদের ভোট দানের অধিকার রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। 
তিনি বলেন, যাহাই তৃণমূল তাহাই বিজেপি। এটা বুঝতে হবে উত্তরপ্রদেশে পুলিশি ঘেরাটপে থাকার সময় দুষ্কৃতীরা গুলি করে হত্যা করলো দু’জন বিচারাধীন বন্দিকে। হাড় হিম করা ঘটনা। এরাজ্যেও একই ধারা প্রবাহমান।


জম্বু কাশ্মীরের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক সত্যি ঘটনা সামনে এনেছেন। বামপন্থীরা পুলওয়ামা ঘটনা নিয়ে যা দাবি করেছিল তা সত্যি প্রমাণিত হচ্ছে সেখানকার রাজ্যপালের কথায়।
নিরঞ্জন সিহি বলেন তীব্র দাবদাহের মধ্যে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি জানান দেয় লালঝান্ডার প্রতি তাঁদের অগাধ আস্থা। যারা ২০১১ সালে সিপিআই(এম) কে সরিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিলেন তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারছেন তারাই তৃণমূল কে উৎখাত করবে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে। ২০১’র অভিজ্ঞতা মানুষের আছে। 


মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন নন্দীগ্রামে চক্রান্তের কান্ডারি ছিল শুভেন্দু অধিকারী। তিনি এখন সাধু সেজেছেন। বুঝে নিতে হবে এরা ভন্ড সাধু, সুযোগসন্ধানী। আজ তৃণমূলে তো কালকে বিজেপিতে থাকে। পূর্ব মেদিনীপুরের শিল্প সম্ভাবনাকে ধ্বংস করেছে এরা। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে এদের পরাস্ত করতে হবে। পুলিশ পুকুরের পাঁকে মোবাইল খুঁজছে কেন? খুঁজছে কারণ রাজ্যের এক তৃণমূল বিধায়ক পুকুরে তার মোবাইল ফেলে দিয়েছে এ ঘটনা বামফ্রন্টের ৩৪ বছরে দেখেছে কেউ? লজ্জার বাংলাতে পরিণত করেছে তৃণমূল। যেই বিধায়কদের বিধানসভার ভেতরে মানুষের জন্য কথা বলার কথা ছিল তারা এখন পাঁচিল ধরে ঝুলছে। ১০০ দিনের কাজে ৮৪ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড, আবাস যোজনায় কোটি কোটি টাকা লুট হয়েছে। কেন্দ্র সরকার বলছে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবে না। কিন্তু গরিব মানুষ যারা কাজ করেছে তারা কেন টাকা পাবেনা? এই অর্থ তৃণমূল বা বিজেপি’র পারিবারিক সম্পত্তি নয়। গরিবের টাকা দিতে হবেই।

Comments :0

Login to leave a comment