Midnapore

বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত দুই মেদিনীপুর

রাজ্য

Midnapore ছবি- চিন্ময় কর

 
গভীর নিম্নচাপের জেরে গত কয়েকদিন বৃষ্টিতে নাজেহাল সাধারণ জনজীবন। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রের খবর, ওড়িশা উপকূলে বঙ্গোপসাগরে ঘনীভূত নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গের ভারী বৃষ্টি পাত হয়ে চলেছে।  দুই মেদিনীপুর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলা গুলিতে কখনও হালকা কখনও ভারি টানা বৃষ্টি হচ্ছে। টনা বৃষ্টিতে ঘাটাল মহকুমার একাধিক ব্লক এখন জলমগ্ন। সব মিলিয়ে দেড় শতাধিক মৌজা জলমগ্ন। নদীগুলির পাড় উপচে পড়ছে জলের স্রোত। সড়ক রাস্তা, গ্রামীণ রাস্তা ভাসিয়ে জল চাষের জমি সহ ঘরবাড়ির ভিতর দিয়ে বইছে। প্রবল স্রোত নদী ছাড়িয়ে এখন সড়ক রাস্তা সহ লোকালয়ে। জলের স্রোতের বিপরিতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে মানুষ। সরকারি ভাবে নৌকার দেখা নেই। এই ঘটনা ঝুমি, শিলাবতী, কংসাবতী নদীর দুই পাড়ের পার্শ্বস্থ একের পর এক মোজায়। দাসপুরের রামদেবপুর ও রাজনগরের একদিকে শিলাবতী অপরদিকে কাঁসাই নদীর সাঁড়াশি আক্রমণ। কাঁসাই নদীর তিনটি জায়গার পাড় ভাঙা অবস্থায় থাকায় সেই স্থান দিয়ে জলের স্রোত সবজি ধান জমি ডুবিয়ে এলাকার রাস্তাঘাট সহ ৩০ টির উপর মৌজাকে প্লাবিত করেছে।


ক্যাপশান - নন্দকুমার ও ময়না ব্লকের সংযোগকারী বাঁসের সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ছবি রামশংকর চক্রবর্তী।

অন্য দিকে প্রবল বৃষ্টিতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কার্যত বিপর্যস্ত। জেলার একাধিক ব্লক এলাকার অতিবৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। চাষের ক্ষেত থেকে ঘরবাড়ি বহু এলাকায় জলমগ্ন। মহিষাদল সহ একাধিক ব্লক এলাকায় ভাঙাচোরা রাস্তাঘাটে জল জমে আরো ভয়ঙ্কর চেহারা নিয়েছে। ইতিমধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের নজরদারি থাকা কাঁসাই নদীর উপরে নন্দকুমার ও ময়না ব্লক সংযোগকারী একটি বাঁশের সেতু জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। নন্দকুমারের পুরুষাঘাট এলাকা থেকে ময়না ব্লকে কয়েক হাজার মানুষের নিত্যদিনের যাতা এই বাঁশের সাঁকো দিয়ে। সেটি কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়েছে দুটি ব্লকের মধ্যে। 


কাঁসাই নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় পাঁশকুড়া এলাকায় বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি কেলেঘাই নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ার ফলে পটাশপুরের কিছু এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। রূপনারায়ণের নদী জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ফলে নন্দকুমার ব্লকের গঞ্জনারায়নপুর ইছাপুর প্রভৃতি গ্রামগুলি প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কায় নদী পাড় সংলগ্ন বসবাসকারীরা অন্যত্র সরে যাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন। এই নদীর অপর প্রান্তে তমলুক ব্লক এলাকার নদীর তীরবর্তী অঞ্চলের বাসিন্দারাও গভীর আশঙ্কায় রয়েছেন। ইতিমধ্যেই অতিবৃষ্টিতে জেলার কৃষি ক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা প্রবল। বিশেষত ফুল এবং সবজি চাষের জমিতে এক হাঁটু পরিমাণ জল জমে যাওয়ার ফলে ফলনের ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা।
 

Comments :0

Login to leave a comment