রাজ্যের নিজস্ব ইন্টারনেট পরিষেবা পরিকাঠামো চালু করল কেরালা। দেশে প্রথম রাজ্য হিসেবে কেরালাই এই কাজ শুরু করল। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন জানিয়েছেন প্রথম ধাপে ২০ লক্ষ পরিবারকে নিখরচায় দেওয়া হবে পরিষেবা। তার মধ্যে ৭ হাজার পরিবারকে ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজয়ন বলেছেন, ‘‘কেরালায় ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে এই পরিকাঠামো বিশেষ জরুরি।’’
ইন্টারনেট ব্যবহারের সোযোগে বৈষম্য, পরিভাষায় ‘ডিজিটাল ডিভাইড’, সবচেয়ে বেশি চোখে পড়েছিল কোভিডের সময়ে। অনলাইনে ক্লাস চালুর সময় বোঝা যাচ্ছিল অনেক পরিবারেরই ‘ডেটা’-র খরচ মেটানোর সামর্থ্য নেই। মোবাইল যন্ত্রের সমস্যাও ছিল। সেই সঙ্গে সরকারি পরিকাঠামোতেও, যেমন পঞ্চায়েত স্তরে, ইন্টারনেট সংযোগে নানা অসুবিধা সামনে আসে। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে এই বৈষম্য গুরুতর হয়েছে।
রাজ্যের বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট সরকার আগেই ঘোষণা করেছিল যে ইন্টারনেট পরিষেবা মৌলিক অধিকার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। আজকের সময়ে অত্যন্ত জরুরি সব অংশের ইন্টারনেট ব্যবহারের সুযোগ পৌঁছানো।
বিজয়ন জানিয়েছেন, ‘‘দারিদ্রসীমার নিচে রয়েছে এমন ২০ লক্ষ পরিবারকে বিনামূল্যে দেওয়া হবে পরিষেবা। চার বছর ধরে এই নেটওয়ার্ক চালু করার জন্য কাজ চলছিল। অবশেষে লক্ষ্যে পৌঁছানো গিয়েছে।’’
কেরালা অপটিক্যাল ফাইবার নেটওয়ার্ক বা কেওএফএন গত বছরের জুলাইয়ে অনুমোদন পায় কেন্দ্রীয় টেলিকম বিভাগের থেকে। দেওয়া হয় পরিকাঠামো পরিষেবা দেওয়ার লাইসেন্ট। কেন্দ্রের এই বিভাগ ‘ডিওটি’ ইন্টারনেট পরিষেবাদাতা সংস্থা হিসেবেও কেওএফএন-কে অনুমোদন দেয়।
বিজয়ন জানিয়েছেন, ‘‘রাজ্যের প্রায় ৩৫ হাজার কিলোমিটার এলাকায় মাটির নিচে কেবল বসিয়ে পরিকাঠামো গড়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এবার ধাপে ধাপে এগনো হবে।’’
দারিদ্রসীমার নিচের পরিবারগুলিকে নিখরচায় দিলেও অন্য অংশের থেকে মাসুল নেবে সরকার। বাণিজ্যিক পরিকাঠামো এবং সরকারি পরিকাঠামোকে বিপুল সংযোগ বৃত্তে যুক্ত হওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে মাশুলের বিনিময়ে।
Comments :0