সুদীপ্ত বসু: মোলান্দি
তৃণমূলের মদতে এত বাড়াবাড়ি দুষ্কৃতীদের। দু্ষ্কৃতীচক্রকে শেষ করতে হবে। তা না হলে রাজ্যে আরও অনেক তমন্না শেখের প্রাণ যাবে। পলাশির মোলান্দি গ্রামে তৃণমূলের বোমায় নিহত কিশোরীর মা এই সুরেই উগরে দিয়েছেন ক্ষোভ।
সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি, রাজ্য কমিটির সদস্য অলকেশ দাস সহ পার্টি নেতৃত্বকে দুষ্কৃতীরাজকে রাজ্যছাড়া করার কথা বলেছেন তমন্নার মা সাবিনা ইয়াসমিন শেখ।
আর মহম্মদ সেলিম দেখা করে বেরিয়ে বলেছেন, তমন্নার মায়ের এই মনোভাবকে কুর্ণিশ জানাই। লড়াই করতে বলেছেন আমাদের। রাজ্যে তৃণমূল এবং পুলিশের মদতে এমন একের পর এক অন্যায় চলছে। পুলিশের মদতেই চলছে এই দুষ্কৃতীরাজ। তমন্না খাতুন হত্যার বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে। প্রয়োজনে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হবে বিচারের দাবি নিয়ে।
বাড়ির সামনে নারকেল গাছে বাঁধা লাল পতাকা। গ্রামবাসীরা, পরিবার পরিষ্কার বলছেন শনিবারএ, সিপিআই(এম) সমর্থকদের বাড়িতে হামলা হয়েছিল পরিকল্পনা করে। যার শিকার দশ বছরের তমন্না খাতুন। কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল ঘোষণার দিন এই গ্রামেই বেছে বেছে সিপিআই(এম) সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছিল তৃণমূল। বিজয় মিছিলের নামে ছোঁড়া হয়েছে বোমা। এদিনও জানালেন গ্রামবাসীরা। বোমার আঘাতেই নিহত কিশোরী তমন্না খাতুন। মাত্র চতুর্থ শ্রেণিতেই থেমে গেল পড়াশোনা।
পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ গ্রামের সর্বত্র। অভিযোগ পরিবারের। পুলিশকে নির্দিষ্ট করে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল যে তৃণমূলের বুথ সভাপতি গাওয়াল শেখের বাড়িতে রয়েছে মজুত রয়েছে বোমা। পুলিশ এলেও বুথ সভাপতির বাড়িতে তল্লাশি চালায়নি। পুলিশ দায়িত্ব পালন করলে এই হামলা হতো না।
পুলিশের তদন্তে আস্থা নেই এলাকায়। মা আগেই চেয়েছিলেন সিবিআই তদন্ত। সেই দাবি তুলছেন গ্রামবাসীরা। কেননা, যে আধিকারিকের নেতৃত্বে ২৩ জুন, ঘটনার দিন, তল্লাশির নামে প্রহসন হয়েছিল তিনি পলাশি থানার মীরা ফাঁড়ির আধিকারিক। তাঁকেই এই তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিকলেই শুরু হয়েছে পলাশিতে জমায়েত। হাজির হয়েছেন বহু মানুষ। বিচারের দাবিতে উঠছে স্লোগান। পরিবারের দাবি মিশে যাচ্ছে জনতার স্লোগানে।
Comments :0