সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে তীব্র সংঘাত চলছে। সংবাদমাধ্যমের একাংশ দাবি করেছে আসাদ বিরোধী বাহিনী সিরিয়ার মধ্যভাগে হামায় গ্রামঞ্চলে পৌঁছে গিয়েছে। দখল নিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকার।
রবিবার বিকেলেই সিরিয়া সরকার দাবি করেছে উত্তর পশ্চিমাঞ্চলের আলেপ্পো এবং মধ্যভাগে হামায় সেনার বড় বাহিনী মোতায়েন করা গিয়েছে। পাঠানো হয়েছে ভারী যুদ্ধ সরঞ্জাম এবং রকেট লঞ্চার।
আলেপ্পো কেন্দ্রীক আসাদ বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীকে টানা মদত জুগিয়েছে আমেরিকা। ইজরায়েলও সিরিয়ার এই বাহিনীকে অস্ত্র জুগিয়েছে। রাশিয়া আসাদের পক্ষ নিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে বিভিন্ন সময়ে। রবিবার সিরিয়ার সেনার সঙ্গে রাশিয়ার জেট বিমানও উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে বোমা ফেলেছে বলে জানিয়েছে পশ্চিমী সংবাদমাধ্যম।
দামাস্কাস থেকে সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘‘দেশের সেনারা বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর কবজায় চলে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা উদ্ধার করতে পেরেছে। কালাত-আল-মাদিক এবং মারদাস এলাকা থেকে তাদের সরানোর সাফল্য দেখিয়েছে সেনা। সরকার বিরোধী সশস্ত্র বাহিনীর কয়েকজন সংঘাতে নিহত হয়েছে। বাকি বড় অংশ এলাকা থেকে সরে গিয়েছে।’’
সিরিয়ার সরকারি সংবাদমাধ্যমের টেলিভিশন চ্যানেলে দাবি, সশস্ত্র উগ্রপন্থী বাহিনী হায়াত তাহির আম শাম (এইচটিএস) এই পর্বে অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিচ্ছে। গত তিন দিন ধরে তাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে সেনা।
ব্রিটেন কেন্দ্রীক যুদ্ধ বিষয়ক পর্যবেক্ষক প্রতিষ্ঠান সিরিয়ান অবসারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে রবিবার দুপুর থেকে খুব কম সময়ের মধ্যে সিরিয়ার সেনা বড় সংখ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে আলেপ্পোর বিভিন্ন অঞ্চলে।
আসাদ প্রশাসনকে নিয়ে সিরিয়ার মধ্যে বিভিন্ন সময়ে বিক্ষোভ হয়েছে। আসাদের বিরুদ্ধে কড়া হাতে বিক্ষোভ দমনের নেমে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে। রাষ্ট্রপতি বাশার আল আসাদ যদিও পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলিকে আমেরিকার মদত দেওয়ার নীতিকে। তুরস্কের বিরুদ্ধেও এই অভিযোগ তুলেছেন আসাদ।
শনিবার এইচটিএস হামায় ঢুকে পড়ে বিভিন্ন এলাকা কবজায় এনেছিল বলে জানাচ্ছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
Syria Fighting
সিরিয়ায় তুমুল সংঘাত, এলাকা কবজায় ফেরানোর দাবি সেনার
×
Comments :0