শুরু হয়ে গেল ক্লাব বিশ্বকাপ। আগামী বছর ফুটবল বিশ্বকাপ, তার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজন করেছে ফিফা। এই প্রথম ৩২টি দেশকে নিয়ে আয়োজিত হচ্ছে এ বারের প্রতিযোগিতা। যা আগামী বছরের বিশ্বকাপ এবং ২০২৮-এর অলিম্পিকের মহড়া হিসাবে দেখা হচ্ছে এই প্রতিযোগিতাকে। তবে সমস্যা তৈরি হচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি নিয়ে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই জানানো হয়েছে, নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আফগানিস্তান, বার্মা, চাদ, সাধারণতান্ত্রীক কঙ্গো, ইকুয়েটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ পুরোপুরি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও কিউবা, লাওস, টোগো, তুর্কোমেনিস্তান, ভেনিজুয়েলা, বুরুন্ডি, সিয়েরা লিয়েনের নাগরিকদের ক্ষেত্রেও আংশিক নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তারা আরও জানিয়েছে, প্রথম ১২টি দেশে ছাড়াও আগামী দিনে আরও অনেক দেশ সেই তালিকাভুক্ত হতে পারে। এই দেশগুলির ক্রীড়াবিদদের ছাড় দেওয়া হলেও, সমর্থকেরা কী ভাবে খেলা দেখতে আসবেন তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট নির্দেশিকা নেই। এর মধ্যে সমাজমাধ্যমের এক ভিডিও বার্তায় ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা সেই সমস্ত মানুষকে আমাদের দেশে ঢুকতে দেব না, যারা আমাদের ক্ষতি করবে’। ইতিমধ্যেই ইরান বিশ্বকাপ খেলার ছাড়পত্র পাওয়ায় তা আরও বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে ফিফার সামনেও।
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির বিরোধিতায় প্রতিবাদ চলছে লস অ্যাঞ্জেলেস সহ একাধিক যুক্তরাষ্ট্রের শহরে। তার বেশ কয়েকটিতে রয়েছে ক্লাব বিশ্বকাপের খেলাও। এই অবস্থায় ক্লাব বিশ্বকাপের আয়োজনের মাধ্যমে মার্কিন প্রশাসন বুঝে নিতে চাইছে, কী ভাবে ফুটবল বিশ্বকাপ এবং অলিম্পিক সুষ্ঠু ভাবে আয়োজন করা যায়। তবে সে দেশের বিভিন্ন নীতির কারণে প্রতি পদে ঠোক্কর খেতে হচ্ছে। ক্লাব বিশ্বকাপেই অনেকের দেশের সমর্থক মাঠে গিয়ে প্রিয় দলের খেলা দেখতে পাচ্ছেন না। এই নিয়ে বিরোধিতার সুরও উঠেছে।
ফিফা আপাতত আমেরিকার বাজার ধরতে চাইছে। ক্লাব বিশ্বকাপ এবং ফুটবল বিশ্বকাপ আয়োজনও সেই কারণেই। ফিফার সভাপতি জিয়ান্নি ইনফান্তিনো সম্প্রতি দেখা করেছিলেন ট্রাম্পের সঙ্গে। তাঁর দাবি, সমর্থকদের কোনও অসুবিধা হবে না। বাস্তব অবশ্য অন্য কথাই বলছে। ক্লাব বিশ্বকাপ নিয়ে স্পনসরদের মধ্যেও যে আগ্রহ রয়েছে এমন অনেকে। প্রত্যাশার তুলনায় অনেক কম স্পনসর পেয়েছে ফিফা। মাঠ ভরাতে এক জনের টিকিটে পাঁচ জনকে খেলা দেখার সুবিধাও দেওয়া হয়েছে। আপাতত আগামী ২৯ দিন বলে দেবে, আমেরিকায় ফুটবলের গ্রহণযোগ্যতা বেড়েছে কি না। তার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের নীতির ফলাফলও আরও স্পষ্ট হবে।
FIFA
ট্রাম্পের অভিবাসন নীতির ফাঁপড়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপও

×
Comments :0