MD SALIM MAMATA

খাদ্য-কাজের সঙ্কট, র‌্যাগিং থেকে রিগিংয়ের প্রতিবাদ ৩১ আগস্ট: সেলিম

রাজ্য কলকাতা

খাদ্যের সঙ্কট, কাজের সঙ্কট আর লুটের রাজনীতির গভীর যোগ রয়েছে। খাদ্য আন্দোলনের শহীদদের স্মরণে ৩১ আগস্টের জনসভা হবে সেই প্রচার গড়ে তুলে। 

বামফ্রন্টের ডাকে ধর্মতলায় হবে সমাবেশ। সিপিআই(এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম জানিয়েছেন, চারদিক থেকে চারটি মিছিল সমবেত হবে ধর্মতলায়। বাংলায় ব্রিটিশ শাসনে ভয়াবহ দুর্ভিক্ষেরও আশি বছর। এবারের জনসভায় সেই প্রসঙ্গ বাড়তি গুরুত্ব পাবে। 

এদিনই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি তাঁর পরিবারে কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশিতে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে সেলিম বলেছেন, ‘‘এত দুর্নীতি করেছেন কেন?’’ (দেখুন ভিডিও)

পঞ্চায়েতের নির্বাচনে সিপিআই(এম) ৭ কর্মী, সব মিলিয়ে হিংসায় নিহত রাজ্যের ৬০ নাগরিককে স্মরণ করা হবে শহীদ দিবসে। স্মরণ করা হবে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যাগিংয়ে খুন ছাত্রকে। সেলিম বলেছেন, ‘‘র‌্যাগিং থেকে রিগিংয়ের প্রতিবাদ হবে ৩১ আগস্টের সমাবেশে।

মঙ্গলবার কলকাতায় মুজফ্‌ফর আহমদ ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করেন সেলিম। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি সভা থেকে যাদবপুরের ঘটনার জন্য সিপিআই(এম)-কে দায়ী করে চলেছেন। সেই প্রসঙ্গেই সেলিম বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একদম নিম্ন শ্রেণির মিথ্যাবাদী। তিনিই পুলিশমন্ত্রী। তাঁর পুলিশ যাঁদের গ্রেপ্তার করেছে তদন্তে জন্য তার মধ্যে সিপিআই(এম)’র কেউ নেই। বামপন্থী ছাত্র সংগঠনেরও কেউ নেই।’’ 

সেলিম এই প্রসঙ্গেই বলেছেন, ‘‘পুলিশ এবং তদন্ত ও বিচার প্রক্রিয়ায় যুক্ত সব অংশের কাছে আমাদের দাবি কারও বক্তব্যে প্রভাবিত হবেন না।’’ সেলিম বলেন, ‘‘আরএসএস’র ছক অনুযায়ী সংগঠিত বামপন্থী ছাত্র আন্দোলনকে আক্রমণ করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সারা দেশে জেএনইউ থেকে জামিয়া মিলিয়া, সর্বত্র এই ছকেই চলছে আরএসএস এবং বিজেপি।’’ 

২৯ আগস্ট যাদবপুরেই সমাবেশ ডেকেছে এসএফআই। 

রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা এবং বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারির বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন সেলিম। এদিন বিধানসভায় সাংবাদিক সম্মেলনে অধিকারি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর সমালোচনা করেন। ‘‘সেলিম বলেন, ‘‘শিক্ষা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকারের প্রশ্নে রাজ্যপাল আর মুখ্যমন্ত্রীর তফাৎ নেই। রাজ্যের আর কেন্দ্রের শিক্ষামন্ত্রীদের ফারাক নেই। খড়্গপুর আইআইটি’তে খুন হন ছাত্র ফয়জান আহমেদ। কেন্দ্র নীরব, শুভেন্দু নীরব। আর রাজ্যের পুলিশ তদন্ত ধামাচাপা দিতে চেয়েছে আদালতে।’’ 

ব্রিটিশ শাসনে দুর্ভিক্ষের জন্য দায়ী ছিল ঔপনিবেশিক নীতি। বামপন্থী কমিউনিস্টরা লঙ্গরখানা খুলে ত্রাণে ঝাঁপিয়েছিল। পরে স্বাধীন ভারতে খাদ্যের দাবিতে আন্দোলন হয় বামপন্থীদের নেতৃত্বে। 

সেলিম বলেন, ‘‘গণবন্টন, রেশনে খাদ্য এবং কৃষকের থেকে ন্যায্য মূলে ফসল সংগ্রহের দাবি তখন থেকে। কেন্দ্র আর রাজ্যের সরকার যাকে তুলে দিতে চাইছে। একদিকে নিরন্ন মানুষ অন্যদিকে আদানির হাতে চালকল। সারা বিশ্বেই এই নীতি খাদ্য সঙ্কট তীব্র করছে। তার প্রতিবাদ হবে ৩১ আগস্ট।’’ 

Comments :0

Login to leave a comment