'Nirmal Gram' Baghudi

সরকারি খাতায় ‘নির্মল গ্রাম’, শৌচকার্যে গ্রামবাসীরা যাচ্ছেন খোলা মাঠে!

জেলা

পরিত্যক্ত পাকা শৌচালয়। ব্যবহারের যোগ্য নয়। পুরুলিয়ার বাঘুডি গ্রামে।

ভাস্কর দাশগুপ্ত

আজব রাজ্যের আজব নিয়ম। খাতায়-কলমে ঘোষণা হয়ে গেছে নির্মল গ্রাম। স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান লিখিতভাবে ঘোষণাও করে দিয়েছেন যে গ্রামে সকলের বাড়িতেই শৌচালয় আছে। 
কিন্তু বাস্তব চিত্র একেবারে উল্টো। পুরুলিয়ার এক নম্বর ব্লকের লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাঘুডি গ্রামে ঘুরে দেখা যাচ্ছে এই ঘোষণা কতটা অসত্য।
পুরুলিয়া শহর থেকে মাত্র ১০-১২ কিলোমিটার দূরে একটি গ্রাম বাঘুডি। সে গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, এসএসকে আছে। সেই গ্রামটিকেই দু’বছর আগে ঘোষণা করা হয়েছিল ‘নির্মল গ্রাম’ হিসেবে। যার অর্থ, গ্রামের সবাই স্বাস্থ্যসম্মত শৌচালয় ব্যবহার করেন। কেউ আর প্রকৃতির ডাকে খোলা আকাশের নিচে যান না। কিন্তু সেই গ্রামে গিয়ে অবাক হতে হয়। ছোট থেকে বড়, পুরুষ থেকে মহিলা সকলেই স্বীকার করে নিয়েছেন তাঁরা কেউ শৌচালয় ব্যবহার করেন না। অনেকেই চাইছেন এই ব্যবস্থাটা পরিবর্তন করার। কিন্তু কে করবে? 
সরকার থেকে বাড়িতে বাড়িতে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই শৌচালয়ে কেউ রাখেন ঘুঁটে, কেউ রাখেন কাঠ, কেউ রাখেন বালি, কেউ রাখেন পরিত্যক্ত সামগ্রী। প্রত্যেকের বক্তব্য, শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল তা কোনও মতেই ব্যবহার করা যায় না। 
নুপুরা রাজোয়ার, সুব্রত রাজোয়ার,  ত্রিদেব রাজোয়াররা জানিয়েছেন এই বাস্তবতা। 
অভিযোগ মেনেও নিয়েছেন লাগদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান।

Comments :0

Login to leave a comment