রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকস্তরে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করে ক্লাস চালু করতে হবে, রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের রেজাল্ট বের করতে হবে এই দাবি নিয়ে এসএফআই সহ আরও ৪ নাম ছাত্র সংগঠনের ডাকে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে কলেজ স্ট্রিটে। শিক্ষা ক্ষেত্রে সাথে যুক্ত সমস্ত অংশকে তাঁরা এদিন আহ্বান জানিয়েছিলেন।
তিন মাস অতিক্রান্ত হয়ে গিয়েছে রাজ্যের জয়েন্ট এন্ট্রান্সের। এখনও রেজাল্ট বের করতে পাইনি বোর্ড। দিনের পর দিন বেড়ে চলছে কলেজে ভর্তির আবেদনের দিন। প্রায় তিন মাস হয়ে গেলো রেজাল্ট বেরিয়েছে উচ্চমাধ্যমিকের। ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এই নিয়ে লাগাতার আন্দোলনের ডাক দিয়েছে ৫ টি বাম ছাত্র সংগঠন একত্রে। এদিন অবস্থান চলাকালীন এক প্রতিনিধি দল বিকাশ ভবনে যায় আধিকারিকদের সাথে কথা বলতে। টানা বৃষ্টির মধ্যেও এদিনের অবস্থান চলেছে। এসএফআই জানিয়েছে আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
উল্লেখ্য আগামী সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকার ও জয়েন্ট এন্ট্রান্স বোর্ডকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে, কেন ফলাফল প্রকাশ করা হয়নি। মঙ্গলবার জয়েন্ট এন্ট্রান্সের ফল প্রকাশ সংক্রান্ত মামলায় এমনই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
এদিনের অবস্থানে অধ্যাপক নন্দিনী মুখার্জি, সনাতন চ্যাটার্জি, রামেশ্বর সিনহা, অর্ণব হালদার আইনজীবী শামীম আহমেদ সহ অন্যান্যরা। তাদের কথা থেকে স্পষ্ট হয় যে রাজ্য সরকার সরকারি শিক্ষা ব্যবস্থাকে তুলে দিতে চাইছে। বেসরকারি কলেজ বিশ্বাবিদ্যালয় গুলি যাতে তাদের ব্যবসা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে তার ব্যবস্থা করছে শিক্ষা দপ্তর। ওবিসি সার্টিফিকেট নিয়ে ভুল কথা প্রচার করছে তারা। আইনজীবী শামীম আহমেদ বলেন, "হাইকোর্ট কখনই বলেনি সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে মানে ভর্তি বা নিয়োগ আটকে থাকবে। সরকার ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করছে।"
Comments :0