MODI GEMINI GOOGLE

মোদী কি ফ্যাসিস্ট? জেমিনির জবাবের জেরে গুগল ফের কেন্দ্রের নিশানায়

জাতীয়

ছবি প্রতীকী।

মোদী কি ফ্যাসিস্ট? গুগলের যান্ত্রিক কথোপকথন ব্যবস্থায় প্রশ্নটি ছুঁড়লেই জবাব মিলছিল ‘হ্যাঁ’। আরও বলছিল, ‘তিনি এমন কিছু নীতি রূপায়ন করেছেন যে বিশষজ্ঞদের কেউ কেউ তাঁকে ফ্যাসিস্ট বলেছে।’
গুগলের এআই নির্ভর চ্যাটবট ‘জেমিনি’-কে নিয়ে এরপর থেকেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বিতর্কের শুরু। সোমবার, মার্চের চতুর্থ দিনেও, কেন্দ্রের সরকারের তরফে কড়া প্রতিক্রিয়া জারির পর্ব চালু রয়েছে। 
এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর হুঁশিয়ারির সুরে বলেছেন, ‘‘গুগল নিজেই নিজেকে ফৌজদারি অপরাধে বিচারের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। বারবার অন্যায় করবে আর ‘সরি’ বলে পার পেয়ে যাবে তা হয় না।’’
রাজীবের উল্লেখ, ‘‘ইন্টারনেটের দুনিয়ায় গুগল খুবই শক্তিশালী। কিন্তু যথেষ্ট পরীক্ষা নিরীক্ষা না করে কোনও পণ্য ছেড়ে দিলে তার ফল ভুগতে হবে।’’
গুগল এবং তার নির্মাতা সংস্থা অ্যালফাবেটের সঙ্গে বরাবর সুসম্পর্কই রেখে এসেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। বস্তত সরকার এবং বিজেপি’র বিকাশের প্রচারে এমন বৈঠক বারবার ব্যবহারও করা হয়েছে। যেমন গত অক্টোবরে অনলাইনে অ্যাফাবেটের সিইও সুন্দর পিচাইয়ের সঙ্গে অনলাইনে বার্তালাপ হয় মোদীর। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে বৈঠকের প্রেস বার্তা দেয়। বলা হয় যে ভারতের বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম উৎপাদন বিকাশের পরিকল্পনায় অংশীদার হতে রাজি গুগল। ‘জেমিনি’-র জেরে সেই সম্পর্ক ধাক্কা খেয়েছে। 
‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ বা ‘আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্স’-র বাজারে ওপেনএআই’র চ্যাটজিপিটি’র সঙ্গে পাল্লা দিতে বাজারে ‘জেমিনি’ ছেড়েছে গুগল। জানানো হয়েছে প্রশ্ন করলে উত্তর দেওয়ার মতো ‘বুদ্ধিমত্তা’ দেখাতে সক্ষম। সেখানেই মোদী সম্পর্কে প্রশ্নোত্তরের ফলাফল জানিয়ে বেশ কয়েকজন নাগরিক পোস্ট করেন সোশাল মিডিয়ায়। সরকারের দাবি, গুগলকে পুরো বিষয়টি নিয়ে খেদ জানানো হয়েছে। 
এদিন চন্দ্রশেখরের দাবি, ‘‘গুগল ভুল স্বীকার করেছে। তাদের ‘জেমিনি’ বিশবাসযোগ্য নয় বলেছে নিজেরাই। কিন্তু বারবার কেবল অন্যায় করে ভুল স্বীকার করলেই ছাড় মিলবে না।’’ প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য, তথ্য প্রযুক্তি আইনের ৩(১)খ ধারা ভাঙা হয়েছে। ফৌজদারি বিধিরও একাধিক ধারা ভঙ্গ করেছে গুগল। 
যদিও সেই দাবি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, এই ধারায় ভুল তথ্য ছড়ালে শাস্তি হোয়ার কথা। গুগলের ব্যবস্থা ‘বিশেষজ্ঞদের মত’ বলে যা জানিয়েছেন তেমন বহু মতামত এবং লেখা সত্যিই রয়েছে। তবে পিচাই নিজে বলেছেন, ‘‘আমরা জানি যে বেশ কিছু উত্তরে পক্ষপাতিত্ব রয়েছে। তা একেবারেই মেনে নেওয়া যায় না। আমরা বিষয়টিতে ভুল করেছি।’’

Comments :0

Login to leave a comment