'Raat Dokhol' Shyambazar

রাত দখলের মঞ্চে আনিসের বাবা, তমন্নার মা

রাজ্য কলকাতা

মঞ্চে আনিস খানের বাবা, তমন্নার মা। আনিস খানকে বাড়ি ঢুকে খুন করেছে পুলিশ, প্রতিবাদে সোচ্চার থেকেছেন ছাত্র-যুবরা। আর কালীগঞ্জে উপনির্বাচনের ফল গণনার দিন তৃণমূলের মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় নিহত হয়েছে দশ বছরের কিশোরী তমন্না খাতুন। ‘অভয়া’-র বিচার চাওয়ার মঞ্চে থেকেছেন তাঁরা। বিচারের দাবিতে মিলে গিয়েছে যন্ত্রণার আলাদা আলাদা স্বর।
তমন্নার মা বলেছেন, ‘‘আমার মেয়ের দেহ রক্তাক্ত করে দিয়েছে। আপনি বিচার দিন। ২৪ জনকে ধরে পুলিশকে কাজ করতে দিন। পুলিশ বলেছিল সব অপরাধীকে ধরবে। আপনি চাইছেন না বলে পুলিশ ধরছে না। আপনি জোর করে ভোট নেবেন গুণ্ডারা না থাকলে পারবেন না। তাই তাদের আগলে রেখেছেন।’’
অঝোরে কাঁদতে কাঁদতে জমায়েতে এমনই বলছেন তমন্নাকে। বৃহস্পতিবার শ্যামবাজারে এসএফআই, গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতি এবং ডিওয়াইএফআই’র ডাকে চলছে প্রতিবাদ অবস্থান। ‘মধ্যরাতে রাত দখল’-র দিকে এগচ্ছে জমায়েত, এগিয়েছে বিচার আদায়ের শপথ। 
তমন্নার মা বলেছেন, ‘‘জানি মেয়েকে কোনোদিন ফিরে পাবো না। তাই আপনাদের সবাইকে বলছি আমার ছোট মেয়েকে খুনের বিচার দিন সবাই।’’
কান্নায় ভেঙে পড়া তমন্নার মা-কে আগলে রাখেন সারা ভারত গণতান্ত্রিক মহিলা সমিতির রাজ্য সম্পাদক কনীনিকা ঘোষ সহ ছাত্র-যুব নেতৃত্ব।
স্লোগান উঠেছে আনিস, অভয়া, তমন্নার খুনীদের শাস্তি দিতে হবে। বিচার দিতে হবে। ছোট ছোট কুঁড়িদের ফোটার সংগ্রাম চলবে। 
ছাত্র-যুব-মহিলা নেতৃবৃন্দ বারবার বলেছেন, রাজ্যের বা দেশের সরকার অপরাধীদের শাস্তি চায় না। সে কারণে রাজ্যের পুলিশের মতোই তদন্তের নামে দোষীদের আড়াল করেছে কেন্দ্রের সিবিআই। শাস্তি দেয়নি বলে অপরাধীরা সাসহ পাচ্ছে। প্রয়াত মুখ্যমন্ত্রী সিপিআই(এম) নেতা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য বলেছিলেন যে তৃণমূল সরকারে আসীন হওয়ার পর দুষ্কৃতীরা মনে করছে এই সরকার তাদের। বারবার প্রমাণ হচ্ছে সেকথা কত সত্যি। ফলে জনতার সঙ্গে রাস্তায় নেমেই চলবে বিচারের অধিকারের লড়াই।

Comments :0

Login to leave a comment