প্রবীর দাস
ইছামতি নদীর উৎসমুখ নদীয়ার মাজদিয়া থেকে হাসনাবাদ। ১৯ কিমি পথ ধরে ঝাউডাঙ্গা এলাকা সহ বিস্তৃত মজে যাওয়া ইছামতি নদীকে বাঁচাতে হবে। ইছামতি বাঁচলে বাঁচবে জীবন, বাঁচবে জীবিকা। সেইসাথে পদ্মা, যমুনা নদীর পাশাপাশি ইছামতির শাখানদী উপনদী সহ এলাকার সমস্ত খাল বিলের সংস্কার করতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার যদি উদ্যোগ না নেয় তবে বনগাঁ, গাইঘাটা, বাগদা, স্বরূপনগর,বাদুড়িয়ার বানভাসি ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে জানকবুল লড়াই আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিলেন ইছামতি নদী বাঁচাও কমিটি নেতৃবৃন্দ।
তিন ফসলি জমি এক ফসলি হয়ে যাচ্ছে। এটা সীমাহীন বিপর্যয় কৃষকদের। পাশাপাশি ৫টি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার বানভাসি ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দাবি করলেন নেতৃবৃন্দ।
বৃহস্পতিবার হুঁশিয়ারির সাথে সাথে এমনই জোরালো দাবি করলেন ইছামতি নদী বাঁচাও কমিটির সভাপতি পঙ্কজ ঘোষ, সম্পাদক নিরাপদ সর্দার ও সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়ন উত্তর ২৪পরগনা জেলা সভাপতি সত্য কপাট সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কেন ইছামতি নদীর আমূল সংস্কার প্রয়োজন? নেতৃবৃন্দ বলেন, ইছামতি নদী মজে যাওয়ার কারণে ফি বছর বর্ষা এলে বনগাঁ,বসিরহাট মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। ফলে ইছামতি নদীর পাড়ের গ্রামগুলির মানুষ জীবন জীবিকা হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়ে। দফারফা জমির ফসল।
ইছামতি নদী বাঁচাও কমিটি ও বিভিন্ন গণসংগঠনের নেতৃবৃন্দ এদিন টিপি সহ চারঘাট গ্রাম পঞ্চায়েতের জলমগ্ন বিস্তীর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন। স্থানীয় বহু মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেল,মাসাধিককাল ধরে জলমগ্ন গ্রাম থেকে গ্রামান্তর। ১৫-২০ হাজার বিঘা জমির ফসল জলের তলায়।আমন চাষ এবছর আর হবে না। বলছেন স্বরূপনগর বাদুড়িয়া ব্লকের ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০-৮০টি গ্রাম।পটল ঝিঙে উচ্ছে কাকরোল জলের তলায়।মাচানের ফসলে শুরু হয়েছে পচন।
দশটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৭০-৮০টি গ্রাম আজও জলের তলায়।
Comments :0