RAIDAK RIVER

ভয়াবহ ভাঙন রায়ডাকে, মানুষ ত্রাণ শিবিরে

রাজ্য জেলা

Raidak river river errosion bengali news

সোমবার সকাল থেকেই ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে রায়ডাক নদীর ভাঙন। সীমাহীন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তুফানগঞ্জ ২নং ব্লকের বারকোদালি ১ ও ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়েছেন এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে লাঙ্গল গ্রাম ও বেগারখাতা এলাকার বাসিন্দারা। শনিবার রাত থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়ে এই এলাকার প্রায় দুই শতাধিক বাড়ি। 
তুফানগঞ্জের লাঙ্গল গ্রাম ও বেগারখাতা এলাকয় রায়ডাক নদীর বাঁধ ভেঙ্গে নদীর জল প্রবেশ করেছে চাষের জমিতে বাড়ি-ঘরে। তুফানগঞ্জ ১ নং ব্লকের নাককাটি গঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত কুটিমারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন বাসিন্দারা। বর্তমানে এখানেই রয়েছেন বন্যা বিধ্বস্ত প্রায় ২৫০জন। বন্যার জল নামলেও নদী ভাঙনের এই ভয়াবহ সঙ্কটের সম্মুখীন এখন বানভাসী মানুষেরা।
রায়ডাক নদীর জল নামতে শুরু করলেও সোমবার সকাল থেকে ভাঙ্গন শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। অবিলম্বে প্রশাসন যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ না করলে চরম বিপদে পড়তে চলেছেন এলাকার মানুষ। গোটা গ্রাম চলে যাবে নদীর গর্ভে বলে আশঙ্কা তাঁদের। বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবারই বর্ষার সময়ে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তাঁরা। অস্থায়ী একটা বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বটে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু আজ পর্যন্ত পাথরে স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করা হয়নি। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে পাথরের স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করুন প্রশাসন।
বন্যা বিধ্বস্ত এই এলাকার বাসিন্দা হরেকৃষ্ণ সূত্রধর, বাবলি বর্মণ, কার্তিক দাস, অনিতা রবিদাস, ভবেশ সরকারদের ব্যক্তব্য, এক ভয়াবহ দুরবস্থার মধ্যে রয়েছেন তাঁরা। কারও ঘর জলের তোড়ে ভেসে গেছে, আবার কারও কারও ঘর হেলে পড়ে রয়েছে। ঘরের ভেতর ঢুকে পড়েছে বিভিন্ন বিষাক্ত সাপ এবং পোকামাকড়। এই পরিস্থিতিতে নিজের, নিজের সন্তান-সন্ততিদের এবং গৃহ পালিত পশুদের নিরাপত্তার স্বার্থেই তাঁরা এই ত্রাণ শিবিরে এসে আশ্রয় নিয়েছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁদের খাবারের কিছু সংস্থান হয়েছে, কিন্তু পর্যাপ্ত খাবার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তাঁদের গৃহপালিত পশুরা। ফলে অর্থনৈতিক দিক দিয়ে রীতিমতো বিপর্যয় নেমে এসেছে তাঁদের জীবনে। বাসিন্দারা অভিযোগ করে বলেন, প্রতিবারই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে দিনের পর দিন ত্রাণ শিবিরে কাটাতে হয় তাঁদের। অথচ প্রশাসন সবকিছু জানা সত্ত্বেও সংশ্লিষ্ট এলাকায় রায়ডাক নদীতে পাথরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের কোন পরিকল্পনা গ্রহণ করে না। এদিন বন্যা বিধ্বস্ত মানুষ প্রশাসন এবং সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুততার সাথে পাথরের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি করেছেন। 

Comments :0

Login to leave a comment