সিঙ্গুরের বড়া তেলিয়ারমোড়ের একটি নার্সিংহোমে কর্মরত এক মহিলার মৃত্যু ঘিরে তীব্র ক্ষোভ এলাকায়। পরিবারের অভিযোগ, তাঁদের না জানিয়ে চব্বিশ বছরের ওই যুবতী, তাঁদের কন্যার, দেহ সরয়ে ফেলা হয়েছে। সিঙ্গুর থানার ওসি-র কাছে দেহের ময়না তদন্ত এবং নার্সিং হোমের মালিককে গ্রেপ্তারের দাবি জানয়েছেন মৃত যুবতীর বাবা।
পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে এসএফআই, ডিওয়াইএফআই, মহিলা সমিতি। ছিলেন সিপিআই (এম ) কর্মীরাও। বিক্ষোভ এবং পথ অবরোধ হয়েছে। প্রতিবাদের জেরে সিঙ্গুর থানা থেকে মৃতদেহ শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়।
এক বছর আগে আর জি কর হাসপাতালে পরিবারকে দূরে সরিয়ে রেখে পুলিশ প্রশাসন এবং তৃণমূল শেষকৃত্য করে দিয়েছিল কর্মরত অবস্থায় নিহত চিকিৎসকের দেহ।
পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে বাড়ি নিহতের পরিবারের। সিঙ্গুরের শিবম সেবাসদন নার্সিংহোমে কর্মরত ছিলেন তাঁর কন্যা। মৃতার বাবা সিঙ্গুর থানার ওসি-কে পাঠানো চিঠিতে জানিয়েছেন যে কন্যা নার্সিংয়ের প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য এই নার্সিং হোমে যোগ দেন।
তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাত এগারোটায় নার্সিং হোম থেকে জানানো হয় যে কন্যাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। ‘গলায় দড়ি দিয়েছে’, বলা হয় নার্সিং হোমের তরফে। বলা হয় যে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
বাবা জানিয়েছেন যে তাঁরা দ্রুত এসে দেহ দেখতে পাননি। অভিযোগ করেছেন যে পরিবারকে না জানিয়ে দেহ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন এ কাজে যুক্ত।
ওসি-র কাছে মৃতার বাবার দাবি, ময়না তদন্ত করাতে হবে দেহের। ভিডিওগ্রাফি করাতে হবে। নার্সিং হোমের মালিককে গ্রেপ্তার করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সিপিআই(এম) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীনাক্ষী মুখার্জি বলেন যে আর জি করের ঘটনা এক বছর আগে দেখিয়ে দিয়েছিল কর্মক্ষেত্রে মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আজ যখন ফের রাজ্যজুড়ে মানুষ রাত দখলে নামছেন তার আগে সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে এক নার্সের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রমাণ হলো ফের যে অবস্থা বদলায়নি।
Singur Nurse Died
সিঙ্গুরের নার্সিংহোমে ঝুলন্ত দেহ নার্সের, দেহ লোপাটের অভিযোগ, তুমুল বিক্ষোভ

×
Comments :0