protests at Jalpaiguri Medical College

পরিষেবা বেহাল, জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজে বিক্ষোভে সিপিআই(এম)

জেলা

মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল চালু হলেও পরিষেবা নেই বেশিরভাগ বিভাগের ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী কমসংখ্যায় থাকায় ও পরিকাঠামোগত সমস্যার জন্য এক অংশের রোগী প্রতিনিয়ত বাধ্য হচ্ছেন বেসরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা চিকিৎসা করাতে যেতে। মাঝে মাঝেই অভিযোগ উঠছে প্রসূতি সহ বিভিন্ন রোগীর ভুল চিকিৎসায় কারনে মৃত্যুর। শহরের এক প্রান্তে মেডিকেল কলেজের সুপার স্পেশালিটি হসপিটাল ক্যাম্পাস অন্যপ্রান্তে পুরনো জেলা হাসপাতালের ক্যাম্পাস থাকায় এক্সরে সহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য প্রায় ৪ কিলোমিটার ছুটতে হচ্ছে রোগী ও রোগীর পরিবারকে। অবিলম্বে জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ব্যবস্থা উন্নত করার দাবিতে সিপিআই(এম) সদর পূর্ব এরিয়া কমিটির পক্ষ থেকে এমএসভিপিকে দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালের একাধিক পরিষেবা ঘাটতি ও অব্যবস্থাপনার কারণে গুরুতর সমস্যার দ্রুত সমাধানের দাবিতে ১০ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।

স্মারকলিপির মাধ্যমে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন যে হাসপাতালে নেফ্রোলজি, কার্ডিওলজি, হেমাটোলজি, নিউরোলজি সহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা বিভাগ চালু না থাকায় প্রতিদিন অসংখ্য গুরুতর অসুস্থ রোগী বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসার জন্য দূরের শহরে যেতে, যেখানে যাতায়াতের কষ্ট, বিপুল আর্থিক ব্যয় এবং চিকিৎসায় অমূল্য সময় নষ্ট হয়ে জীবনহানির ঝুঁকি আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্য রক্ষার দায়িত্বে অবিলম্বে এই পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়ে উল্লিখিত বিভাগগুলি চালু করতে হবে। দ্রুত এই ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি, যাতে স্থানীয় মানুষ তাদের প্রাপ্য উন্নত চিকিৎসা সেবা এখানেই পেতে পারেন। হাসপাতালে প্রায়শই জীবন রক্ষাকারী কিছু জরুরি চিকিৎসা সামগ্রী যেমন স্যালাইন, সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম ইনজেকশন, কুকুরের কামড়ের প্রতিষেধক এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ সময়মতো পাওয়া যায় না, যা রোগীদের চিকিৎসায় মারাত্মক বিলম্ব ঘটায় ও প্রাণহানির ঝুঁকি তৈরি করে। এই পরিস্থিতি কাম্য নয়, তাই অবিলম্বে  এসব জরুরি ওষুধ ও সামগ্রীর পর্যাপ্ত মজুদ নিশ্চিত করা, নিয়মিত স্টক পর্যালোচনা চালু রাখা এবং জরুরি বিভাগে সবসময় সহজলভ্য রাখার দাবি জানান।

Comments :0

Login to leave a comment