সরকার গড়ার জন্য অন্য কোনও দলের সঙ্গে কথা বলেনি কংগ্রেস। সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নে এই দাবি করেছেন দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খারগে। ফল বেরনোর পর কংগ্রেস কৌশল ঠিক করবে, বুঝিয়েছেন তিনি।
শনিবার কর্নাটক বিধানসভার ফল গণনা। ১০ নির্বাচনের পর বিভিন্ন বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসকে এগিয়ে রাখা হয়েছে। ২২৪ আসনের বিধানসভায় স্পষ্ট গরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১১৩ আসন। কোনও কোনও সমীক্ষা কংগ্রেসের পক্ষে ১১৩ আসনের বেশি অনুমান করেছে। কয়েকটি আবার ত্রিশঙ্কুর অনুমানও করেছে।
জনতা দল (এস) নেতা তনভির আহমেদ দাবি করেছেন যে কংগ্রেস এবং বিজেপি, দু’দলই যোগাযোগ রাখছে। দলের প্রদেশ সভাপতি সিএম ইব্রাহিম বা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী এইচডি কুমারস্বামী যদিও এমন কোনও দাবি করেননি।
শুক্রবার বেঙ্গালুরুতে খারগেকে জনতা দল (এস)’র সঙ্গে যোগাযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাস করা হয়। তাঁর দাবি, স্পষ্ট গরিষ্ঠতাই পাবে কংগ্রেস। সেই সঙ্গে বলেছেন, ভোটের ফলাফল দেখলেই বোঝা যাবে কী করা দরকার। তবে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি।
পাঁচ বছর আগে রাজ্যের নির্বাচনেও ত্রিশঙ্কু ফলাফল হয়েছিল। বিজেপি সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও সরকার গড়ার স্পষ্ট গরিষ্ঠতা পায়নি। ভোটের পর কংগ্রেস এবং জনতা দল (এস) জোট করে সরকার গড়ে। চোদ্দ মাস পর সেই সরকার পড়ে যায়। একের পর এক বিধায়ক দল ভেঙে যোগ দেন বিজেপি’তে। এখন রাজ্যের সরকারে রয়েছে বিজেপি।
বিধানসভা ভোটে এ রাজ্যেও মুখ্য কেবল নয়, একমাত্র প্রচারক ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইকে পিছনে ঠেলে রোড শো’তে দেখা গিয়েছে মোদীকেই। প্রধানমন্ত্রীর প্রচারে কড়া ধর্মীয় বিভাজনের উপাদানে প্রশ্ন তুলেছে নানা অংশ। ‘কেরালা স্টোরি’ সিনেমাকে সত্যি ঘটনা দাবি কেবল করেননি, বিভাজনের প্রচার বলায় বিরোধীদের ‘সন্ত্রাসবাদের সহযোগী’ পর্যন্ত বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
আবার মোদীকে দেখিয়েই গ্যাসের দাম বা বেকারির বেনজির হারের জন্য বিজেপি’কে কাঠগড়ায় তুলেছেন বিরোধীরা। রাজ্যের সরকারকে দুর্নীতির দায়েও বিদ্ধ করে প্রচার চালিয়েছে বিরোধীরা।
Comments :0