কালীগঞ্জের মোলান্দি গ্রামে তামান্নার বাড়িতে গেলেন পরিযায়ী শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উপনির্বাচনে গণনার দিন তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বোমায় নিহত হয় পরিযায়ী শ্রমিকের কিশোরী কন্যা তামান্না।
মঙ্গলবার পরিযায়ী শ্রমিক কন্যা তামান্না খাতুনের পরিবারে প্রতি সমবেদনা জানাতে ওয়েস্টবেঙ্গল মাইগ্রান্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের পক্ষ থেকে সমবেদনা জানাতে সংগঠনের রাজ্য সভাপতি এসএম সাদি, সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লাহ গায়েন সহ নেতৃবৃন্দ। একমাত্র কন্যাহারা মা,বাবার সাথে কথা বলেন তাঁরা। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন নেতৃবৃন্দ।
ঘটনায় পুলিশ ৯ জনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি ১৫ জন এখনো অধরা। দুষ্কৃতী বাহিনী ভয়ের বাতাবরণ এখনও। এলাকা থমথমে।
স্থানীয়রা বলছেন অপরাধীরা ঘুরে বেড়ালে এলাকায় শান্তি ফিরবে না। বস্তা বস্তা বোম রয়েছে এই এলাকায়। রয়েছে বেআইনি অস্ত্রের রমরমা। কিন্তু পুলিশের উদ্ধার করার ইচ্ছে নেই। মাঝেমাঝে লোক দেখানো তল্লাশি চলছে। আর পুলিশের এই ভূমিকা সাহস জোগাচ্ছে অপরাধীদের।
তামান্নার বাবা হোসেন সেখ রাজ্যের বাইরে ওড়িশায় বেরহামপুর কাজ করেন। ভোটের জন্য এসেছিলেন। ভোট দিয়ে পরের দিন আবারও কাজের জায়গায় চলে যায়। এরই মধ্যে ঘটানো হয়ে এরকম নৃশংস খুনের ঘটনা।
এদিন তামান্নার বাবা নেতৃবৃন্দদের বলেন, "আমাদের তো সবই শেষ। আর বাইরে গিয়ে কি করব? সিপিআই(এম)'র ভোটার হওয়ার জন্য এমন ভাবে জল্লাদের হাতে খুন হতে হবে আমার মেয়েকে, তা কি কেউ ভাবতে পারে? ওরা টার্গেট করে আমার মেয়েটাকে খুন করল। পুলিশ সব জানে। পুলিশ আর তৃণমূলের নেতারা কি ধোয়া তুলসী পাতা? ওদের আশকারাতেই এই জল্লাদ দের এত বাড়বাড়ন্ত। যতদিন না তামান্নার খুনিরা সাজা না পাবে ততদিন লড়াই চলবে।
শুধু তামান্নার বাবাই নয়, কাকা, জেঠু, জেঠতুতো খুড়তোতো দাদারাও কর্মসূত্রে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে বাইরে কাজ করেন।
উল্লেখ্য নদীয়া জেলার এই কালিগঞ্জ ব্লকজুড়েই পরিযায়ী শ্রমিকের সংখ্যার প্রাধান্য বেশি।
নেতৃবৃন্দ তাদের গভীর সহানুভূতি জানিয়ে বলেন, "অপরাধীরা যাতে সর্বোচ্চ সাজা পায়, তার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকমভাবে এই সাহসী মায়ের লড়াইয়ের সাথে জুড়েই হয়েই থাকবে সংগঠন।" তামান্নার মায়ের কাছ থেকে পুলিশের ভূমিকার কথা জেনে , পুলিশের বিরুদ্ধেও তীব্র ক্ষোভ জানিয়েছেন নেতৃত্ববৃন্দ।
Tamanna Khatun Murder
কালীগঞ্জে তামান্নার বাড়িতে পরিযায়ী শ্রমিক নেতৃবৃন্দ

×
Comments :0