অনাদি সাহু
কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠনসমূহ ও শিল্পভিত্তিক ফেডারেশনগুলির ডাকে ৯ জুলাই, ২০২৫ কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী ও জাতীয় স্বার্থ বিরোধী নীতি ও কর্পোরেট তোষণের বিরুদ্ধে দেশ এবং দেশের সংবিধানকে রক্ষা করতে সাধারণ ধর্মঘটের আহ্বান করা হয়েছে। সংযুক্ত কিষান মোর্চা সহ দেশের কৃষক, খেতমজুর সংগঠনগুলি সাধারণ ধর্মঘটকে সমর্থন করছে। ঐদিন সংযুক্ত কিষান মোর্চা দেশজুড়ে ধর্মঘটে শামিল হচ্ছে। গ্রামীণ ভারত বন্ধ সহ রেল অবরোধ, ন্যাশনাল হাইওয়ে অবরোধ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। পূর্বে এই ধর্মঘট ২০ মে করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল কিন্তু পাহেলগামেতে সন্ত্রাসবাদী হামলা, ২৬জন মানুষের মৃত্যু ও সন্ত্রাসবাদী হামলার বিরুদ্ধে দেশের সেনাবাহিনীর প্রত্যাঘাত এবং তৎকালীন পরিস্থিতিতে ধর্মঘট না করে ৯ জুলাই করার কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
রাজ্যে গত তিন মাস ধরে এই ধর্মঘটের অন্যতম দাবি শ্রমকোড বাতিল, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্র রক্ষা, শ্রমিকের মজুরি বৃদ্ধি, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ, বেকারদের কাজ, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দামের আইন, খেতমজুরদের কাজ, বস্তি গরিব মানুষের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন দাবিতে ও রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, লুট, শ্রমিক বিরোধী ও জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে এবং শিল্পের নিজস্ব ও স্থানীয় দাবিতে রাজ্যজুড়ে প্রচার আন্দোলন ও ডেপুটেশন সংগঠিত করে সিআইটিইউ, কৃষকসভা ও খেতমজুর এবং বস্তি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে ২০ এপ্রিল, ২০২৫ শ্রমজীবী মানুষের ঐতিহাসিক ব্রিগেড সমাবেশ করা হয়েছে। ২৪ মার্চ, ২০২৫ মৌলালি যুব কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত কনভেনশন থেকে রাজ্যের সমস্ত কেন্দ্রীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগঠন সমূহ ১২ই জুলাই কমিটি, ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষা, বিএসএনএল সহ সমস্ত কর্মচারী সংগঠন এই ধর্মঘটকে সফল করতে আহ্বান জানিয়েছে। ইতিমধ্যে জেলায় জেলায় শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর, কর্মচারী সংগঠন বস্তি উন্নয়ন সমিতি যৌথভাবে প্রচার শুরু করেছে। আগামী শেষ কয়েক দিনে শিল্প, কলকারখানায় ও এলাকায় এলাকায় ধর্মঘটকে সর্বাত্মক করতে প্রচার চলবে সর্বত্র মিছিল, মিটিং, পথসভা, জনসভা, মাইক প্রচার শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে হাওড়া স্টেশনে, শিয়ালদহ স্টেশনে কেন্দ্রীয়ভাবে শ্রমিক কৃষক সংগঠনগুলির জনসভা হয়েছে এবং ৫ জুলাই সংযুক্ত কিষান মোর্চা, ৭ জুলাই শ্রমিক কর্মচারী সংগঠনগুলি ধর্মতলার লেনিন মূর্তি থেকে বিকাল ৫টায় কেন্দ্রীয় মিছিল করবে। জেলায় জেলায় একইভাবে কেন্দ্রীয় মিছিল, মশাল মিছিল হবে। সর্বত্র ৭-৮ জুলাই শ্রমকোড পোড়ানো, মশাল মিছিল সংগঠিত হবে। সর্বত্র স্ট্রাইক কমিটি গঠন করা হচ্ছে। ২৪ জুনের মধ্যে শিল্প কলকারখানায় ধর্মঘটের নোটিস দেওয়ার কাজ শেষ হয়েছে। রেল স্টেশন, বাসস্ট্যান্ডে পরিবহণ শ্রমিকদের মধ্যে, জনগণের মধ্যে ব্যাপক প্রচারে জোর দেওয়া দরকার। এই সাধারণ ধর্মঘটের সমর্থনে দোকান বাজার বন্ধের জন্য ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে চিঠি দিয়ে আবেদন জানানো হচ্ছে।
গত ১২ বছর ধরে বিজেপি-আরএসএস পরিচালিত কেন্দ্রের এনডিএ জোট সরকারের জনবিরোধী উদার আর্থিকনীতি ও দেশি-বিদেশি বৃহৎ পুঁজিপতি আদানি আম্বানিদের স্বার্থে আর্থিক সংস্কারের কর্মসূচি, দেশের শ্রমিক কৃষক সহ সাধারণ মানুষের জীবনে ভয়ঙ্কর সঙ্কট ডেকে এনেছে। জীবন-জীবিকা দুর্বিষহ করে তুলেছে। পুঁজিপতিদের ট্যাক্স কমিয়ে, সাধারণ মানুষের উপর করের বোঝা বৃদ্ধি করে, জিএসটি লাগু করে, খাদ্যসামগ্রী ওষুধ সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আকাশ ছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ঘটিয়েছে। এই সময়ে দেশে ধনী দরিদ্রের বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে, গরিব ও ক্ষুধার্ত মানুষের সংখ্যা বেড়েছে। তীব্র বেকারি, শ্রমিকদের মজুরি হ্রাস, সর্বত্র শিল্প কলকারখানায়, সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে সরকারের মদতে কম মজুরিতে কন্ট্রাক্ট শ্রমিক নিযুক্তি রাজ্যে, ও সারা দেশে শ্রমিকদের আয় কমিয়ে দিয়েছে। জীবনযাত্রার মান নেমে গেছে। রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প, ব্যাঙ্ক, বিমা, রেল, প্রতিরক্ষা, কয়লা, ইস্পাত, বিদ্যুৎ, রাষ্ট্রায়ত্ত পরিবহণ, খনিজ সম্পদ, বিমানবন্দর, পোর্ট সহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের বেসরকারিকরণ দেশে আর্থিক ক্ষেত্রে বিপর্যয় ডেকে এনেছে।
সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে গত ১৪ বছর রাজ্য সরকার কর্তৃক শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি না হওয়া, সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় তুলে দেওয়া, নতুন শিল্প কলকারখানা রাজ্যে না হওয়া, রাজ্যে তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি, লুট, সন্ত্রাস, থ্রেট কালচার, শ্রমিক-বিরোধী মালিক তোষণ নীতি, শিক্ষায় দুর্নীতি বন্ধ, যোগ্য শিক্ষকদের কাজ ফিরিয়ে দেওয়া, আর জি করকাণ্ডে অভয়ার ন্যায় বিচার, কৃষকের ফসলের ন্যায্য দামের আইন, কৃষকের ঋণ মকুব, খেতমজুরদের রেগার কাজ চালু, রেগার মজুরি বৃদ্ধি, ২০০ দিন কাজ চালু করা, রেগা ও আবাস যোজনায় দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের কঠোর পদক্ষেপ, রাজ্যে বিদ্যুতের দাম কমানো, টোটেক্স স্মার্ট মিটার সর্বত্র বাতিল করা ইত্যাদি দাবিতে ধর্মঘটকে সর্বাত্মক সফল করতে প্রচার চলছে। কলকাতা বন্দর, হলদিয়া বন্দরকে বেসরকারিকরণ বন্ধ করতে হবে। কেন্দ্রকে গভীর সমুদ্র বন্দরের কাজ দ্রুত চালু করতে হবে। অশোকনগরে ওএনজিসি’র খননের কাজ শুরু করতে হবে, কয়লা খনির নামে দেউচা পাঁচামীতে পরিবেশ ধ্বংস করে আদিবাসী, গরিব কৃষকদের জমিতে পাথর খাদান তৈরির কাজ বন্ধ করতে হবে। সরকারি জমি, চা বাগান, শিল্প কলকারখানার জমিতে শিল্প না করে কর্পোরেট ও জমির হাঙরদের হাতে জমি বিক্রি করা বন্ধ করতে হবে। এই দাবিতে প্রচায় চলছে। রাজ্যে তৃণমূল সরকার দুর্নীতিকে সমাজের সর্বস্তরে প্রসারিত করেছে। তৃণমূল রাজ্যের সমাজবিরোধী, তোলাবাজদের সংগঠিত করে সন্ত্রাস, গুন্ডমি, পেশিশক্তি দ্বারা শাসন চালাচ্ছে। বিজেপি-তৃণমূল রাজ্যে রাজনীতির সাথে ধর্মকে ব্যবহার করছে, সাম্প্রদায়িক বিভাজন হিংসা ও ঘৃণার রাজনীতি করছে, এর বিরুদ্ধে শ্রমিকশ্রেণি ও জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। সচেতন করতে হবে।
শ্রমিকশ্রেণির সামনে আরও ভয়ঙ্কর বিপদ হলো শ্রমকোডের বিপদ। তৃতীয়বার ক্ষমতায় বসে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার পুঁজিপতিদের স্বার্থে শ্রমিকশ্রেণির বিরুদ্ধে আরও তীব্র আক্রমণের পথে শ্রমকোড লাগু করতে অগ্রসর হচ্ছে। গত ১৫০ বছর ধরে শ্রমিকশ্রেণি লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে অর্জিত অধিকারগুলি বাতিল করে মালিকদের শোষণ তীব্র করে মুনাফা বৃদ্ধি করতে শ্রমকোড তৈরি করা হয়েছে। দেশের শ্রমিক সংগঠনগুলি এর তীব্র বিরোধিতা করেছে। নরেন্দ্র মোদী দেশে মধ্যযুগীয় বর্বর শোষণ ব্যবস্থা কায়েম করতে চাইছে। দেশে শ্রমকোড চালু হলে প্রথমেই দেশের সংগঠিত ক্ষেত্রে ৭৫ শতাংশ শ্রমিক শ্রম আইনের সুরক্ষার বাইরে চলে যাবে। শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরির অধিকার, আট ঘণ্টা কাজের অধিকার, স্থায়ী কাজে স্থায়ী চাকরি সমকাজে সমবেতন (সুপ্রিম কোর্টের রায়) শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার অধিকার আগামীদিনে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। নতুন আইনে শ্রম দপ্তরের ভূমিকা লঘু করে দেওয়া হয়েছে। মালিকদের শোষণ অত্যাচার বাড়বে। কলকারখানার শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন করা, নতুন ইউনিয়ন গঠন করা, রেজিস্ট্রেশন করা, ধর্মঘট করা, মিছিল, মিটিং করার অধিকার খর্ব করা হয়েছে। শ্রমকোডে আগামীদিনে ট্রেড ইউনিয়ন করা, ধর্মঘট করার কারণে মালিক বা শ্রমদপ্তর ট্রেড ইউনিয়ন নেতৃত্ব ও কর্মীদের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় কেস করার, জেলা জরিমানা করার স্বৈরাচারী ব্যবস্থা চালু হবে। যা ব্রিটিশ শাসনে বা স্বাধীন ভারতবর্ষে ৭৭ বছরে আজও পর্যন্ত চালু নেই। অথচ অপরদিকে কেন্দ্রীয় সরকার দুর্নীতিগ্রস্ত মালিক শ্রেণি যারা বেআইনিভাবে কলকারখানা চালাচ্ছে, শ্রমিক শোষণ করছে, শ্রম আইন ভঙ্গ করেছে, আইনে তাদের জেল জরিমানা লঘু করে দিয়েছে এবং প্রায় ৩০০ জন এমন অপরাধী পুঁজিপতিদের জেল জরিমানা থেকে মুক্ত করে দিয়েছে এবং ঋণ খেলাপি দুর্নীতিগ্রস্ত পুঁজিপতিদের ১৬ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব করেছে। অথচ গত ১২ বছরে সারা দেশে আমাদের অন্নদাতা লক্ষ লক্ষ কৃষক ঋণের জালে জড়িয়ে আত্মহত্যা করেছে তাদের ঋণ মকুব করা হয়নি। প্রতিশ্রুতি দিয়েও কৃষকদের () ফসলের লাভজনক দামের আইন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করেনি। দেশকে আত্মঘাতী পথে বিজেপি তথা কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার ঠেলে দিচ্ছে যা মেনে নেওয়া যায় না।
একই সাথে আরএসএস-বিজেপি হিন্দুত্বের নামে সাম্প্রদায়িক বিভাজন সৃষ্টিকারী হিংসা ও ঘৃণার রাজনীতি করে দেশজুড়ে মানুষের ঐক্য, শ্রমিকশ্রেণির ঐক্য ধ্বংস করছে। দেশকে হিন্দুরাষ্ট্রে পরিণত করতে চক্রান্ত করছে। বিজেপি-আরএসএস’র ক্রমবর্ধমান স্বৈরতান্ত্রিক ফ্যাসিবাদী কার্যকলাপ দেশের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় নীতি, সংবিধান, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, সংসদীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা, মানুষের বহুত্ববাদী সংস্কৃতি গণতান্ত্রিক অধিকার, স্বাধীন নির্বাচন কমিশন, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা, স্বাধীন প্রচার মাধ্যম, দেশের স্বনির্ভর অর্থনীতি দেশের সংবিধানে প্রদত্ত প্রতিটি মানুষের প্রাপ্য শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, বাসস্থান, মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার কেড়ে নিচ্ছে। বিরোধী দল, মত, স্বাধীন সাংবাদিকতা, স্বাধীন মত প্রকাশের অধিকার সবই আক্রান্ত, বিপদাপন্ন। বিরোধীদের কণ্ঠস্বর স্তব্ধ করতে, ইউএপিএ বিনাবিচারে আটক আইন, সিবিআই, ইডি সহ বিভিন্ন সেন্ট্রাল এজেন্সিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দেশে স্বৈরতন্ত্র নয়া ফ্যাসিবাদের বিপদ মাথা তুলছে। দেশের সংবিধানে প্রদত্ত প্রতিটি মানুষের অধিকার, শ্রমিকশ্রেণির অধিকারকে রক্ষা করতে হবে। দেশে এই নয়া ফ্যাসিবাদী বিপদকে রুখতে হবে।
পার্লামেন্ট ও দেশের জনমতকে উপেক্ষা করে বিজেপি-আরএসএস দেশের স্বাধীন বিদেশ নীতি জলাঞ্জলি দিয়েছে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের সমস্ত অপকর্মের সঙ্গী হতে চাইছে। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে বিজেপি-আরএসএস মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে। ভারতের বন্ধু দেশ ইরানের জনগণের উপর আমেরিকা, ইজরায়েল আক্রমণ চালিয়েছে, ইজরায়েল মার্কিন মদতে প্যালেস্তাইনে গণহত্যা চালাচ্ছে। পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী হামলার পরও মার্কিন প্রেসিডেন্ড রোনাল্ড ট্রাম্প প্রকাশ্য পাকিস্তানের পক্ষ নিয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে হুমকি দিয়েছে। ভারত সরকার নীরবতা পালন করে চলেছে। মধ্য প্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইজরায়েলের হামলা ও গণহত্যার বিরদ্ধে শ্রমিকশ্রেণিকে... দাঁড়াতে হবে। মার্কিন সাম্রাজ্যবাদের বিশ্বব্যাপী যুদ্ধ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সর্বত্র জনগণকে সচেতন ও সোচ্চার করতে হবে। আমাদের স্বাধীন বৈদেশিক নীতি ও শান্তির পক্ষে দাঁড়াতে হবে। দেশ, দেশের সংবিধান, দেশের জনগণের অধিকার রক্ষা করতে, স্বনির্ভর অর্থনীতি, রাষ্ট্রায়ত্ত ক্ষেত্রকে রক্ষা করতে, শ্রমিকশ্রেণির অর্জিত অধিকার, কৃষকের অধিকার, ছাত্র-যুব-মহিলা সহ সর্বস্তরের জনগণের অধিকারকে রক্ষা করতে আগামী ৯ জুলাই, ২০২৫ সাধারণ ধর্মঘটকে সর্বাত্মক করতে আহ্বান জানাচ্ছি। ধর্মঘটের দিন সকাল থেকেই কলকারখানার গেটে ও রাস্তায় সবাইকে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে।
Comments :0