All Party Meeting CPI-M

সর্বদলীয় বৈঠক, কূটনৈতিক চাপ জারি রেখে সংঘাত নিয়ন্ত্রণের বার্তা সিপিআই(এম)’র

জাতীয়

বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকে রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়গে, রাজনাথ সিং।

কূটনৈতিক পদক্ষেপ জারি রেখে আন্তর্জাতিক স্তরে পাকিস্তানের ওপর চাপ বজায় রাখুক ভারত, যাতে সন্ত্রাসবাদীদের ধরা যায়। সেই সঙ্গে দেখা দরকার দু‘দেশের সামরিক সংঘাত পরিস্থিতির মাত্রা যেন আর না চড়ে যায়।
বৃহস্পতিবার কেন্দ্রের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিয়ে একথা বলেছে সিপিআই(এম)। রাজ্যসভায় সিপিআই(এম) সাংসদ জন ব্রিটাস যোগ দিয়েছিলেন বৈঠকে। অংশ নেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেও। 
এদিনের বৈঠকেও হাজির ছিলেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলার পর কেন্দ্রের ডাকে গত ২৫ এপ্রিল সর্বদলীয় বৈঠক হয়। সেই বৈঠকেও অংশ নেননি মোদী। 
গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী না থাকায় খেদ জানান ব্রিটাস। প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতি নিশ্চিত করে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকার দাবি জানান তিনি। সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দাবিও ব্রিটাস জানিয়েছেন বৈঠকে। 
তিনি বলেন, পরিস্থিতি সহায়ক হলেই কাশ্মীরের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা নিয়ে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদল পাঠানো হোক। 
সরকার এদিন সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছে যে সামরিক অভিযানের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জন করা গিয়েছে। মঙ্গলবার মাঝরাতে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদীদের ৯টি ঘাঁটি ধ্বংস করা গিয়েছে।
ব্রিটাস বলেছেন, ‘‘অতীতের অভিজ্ঞতার সাপেক্ষে এই বক্তব্য প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয়। সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূল করতে এমন সামরিক অভিযান কতটা কার্যকর তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।’’
উল্লেখ্য, এর আগে পুলওয়ামায় নাশকতা চালানো হয় সিআিপিএফ জওয়ানদের ট্রাকে। ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির পর পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে বিমানহামলা চালিয়ে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি নির্মূল করার দাবি করেছিল কেন্দ্র। কিন্তু তারপরও জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী তৎপরতা এবং হামলা বজায় থেকেছে। 
সীমান্ত এলাকার মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করার দাবি তোলম ব্রিটাস। তিনি বলেছেন, এই অঞ্চলের মানুষের সরকারি সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। সব ধরনের বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবিলায় ঘটনা জনসমক্ষে পেশ করার দাবি জানান ব্রিটাস। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না। সরকারের দায়িত্ব ঘৃণাপ্রচার বন্ধ করা।
জম্মু ও কাশ্মীর, বিশেষ করে পহেলগামের জনতার ভূমিকার বিশেষ প্রশংসা করেন ব্রিটাস। তিনি বলেন, সন্ত্রাসবাদে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এই এই অংশের মানুষ। পহেলগামে হামলার পর যেভাবে একজোটে তার নিন্দায় শামিল হয়েছেন তা প্রশংসনীয়।

Comments :0

Login to leave a comment