বর্ষাকালে বীজধান বোনার কাজ চলছে হুগলী জেলা জুড়ে। শ্রাবণ মাসের মাঝামাঝি হতে চললো বৃষ্টির দেখা তেমন নেই। তারকেশ্বরের গ্রামের মাঠে বীজধান বোনার সময় খেতমজুরেরা বলেছেন, ভালো বৃষ্টি না হলে সেচের পর্যাপ্ত জল মিলবে না। চাষের ওপর ফসলের ফলনে তার প্রভাব পড়বে মারাত্মক।
তারকেশ্বরের কেশবচকের খেতমজুর সন্ধ্যা সাঁতরা। তিনি বলছেন, ‘‘আমরা খেতমজুরি করে মাঠে খেটে খাই। আমাদের কোন চাষের জমি নেই। এই সবে বর্ষার ধান রোয়া শুরু হয়েছে। জল (বৃষ্টি) যদি ভালো হয়, তাহলে চাষ ভালো হবে। চাষের সেচের জল ডিভিসি খাল থেকেও আসে আবার মিনি ডিপ থেকেও আসে। তবে বিদ্যুতের খরচ অনেক বেশি। তাই বৃষ্টি ও সেচখালের ওপর ভরসা করতে হয়।’’
খেতমজুর ভারতী শি জানান, ‘‘২৩০ টাকা মজুরি পাই। বয়স হয়ে গেছে তো, এখন আর মাঠে খাটতে পারি না। তবে পেটের টান পড়লে মাঝে মাঝে যাই মাঠে। চাষের ওপর আমরা বেঁচে আছি। আগাছা সাফ থেকে, বীজধান পোতা যখন যেমন কাজের সুযোগ পাই আমরা করি। বিনিময়ে মজুরি পাই। এবারে বৃষ্টি কম হয়েছে। তবে শ্রাবণের শেষে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হলে চাষ ভালো হবে। গত বছর এক হাত মতো ধানের চারা গজিয়ে গিয়েছিলো এই সময়। কিন্তু এবার বৃষ্টি দেরিতে হয়েছে, তাই চাষের কাজ ও দেরিতে শুরু হয়েছে।’’
Comments :0