একশো দিনের কাজ, স্মার্ট মিটার বাতিল, পাট্টাদার ও বর্গাদারদের জমির অধিকার সুরক্ষিত করার মতো একাধিক দাবিতেই চলছে বিক্ষোভ ডেপুটেশন। কিন্তু মালদহের কালিয়াচকের একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন নেওয়ার জন্য পদাধিকারীদের কেউ হাজিরই থাকলেন না। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের কর্মীরা পঞ্চায়েত দপ্তরের দেওয়ালেই টাঙিয়ে দেন স্মারকলিপি।
মালদহ জেলার ১৫টি ব্লকের ১৪৬টি গ্রাম পঞ্চায়েতেই খেতমজুর সহ সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের দাবিতে বিক্ষোভ এবং ডেপুটেশনে নেমেছে খেত মজুর ইউনিয়ন। শুক্রবার কালিয়াচক-৩ ব্লকের বীরনগর -১ গ্রাম পঞ্চায়েতে ডেপুটেশন দেওয়ার কথা ছিল। খেতমজুর ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন বীরনগর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে আগাম জানানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও শুক্রবার নির্ধারিত সময় বেলা ৩টে নাগাদ দপ্তরে পদাধিকারী কেউ ছিল না। সব চেয়ার ফাঁকা। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার স্মারকলিপি দেওয়ালে সেঁটে দেন খেতমজুর ইউনিয়নের কর্মীরা। 
এদিন হরিশ্চন্দ্রপুর -১ ব্লকের বোরুই গ্রাম পঞ্চায়েতেও দেওয়া হয়েছে ডেপুটেশন। এলাকার সমস্ত ভাঙা রাস্তা মেরামত করে পাকা রাস্তা করা, বোরুই হাসপাতালে স্থায়ী ডাক্তার নিয়োগ ও শয্যা বাড়ানোর দাবিও জানানো হয়েছে। 
১০০ দিনের কাজ অবিলম্বে চালু করে বছরে ২০০ দিন ও দৈনিক ৬০০ টাকা মজুরি করা, স্মার্ট মিটার বাতিল, পাট্টাদার ও বর্গাদারদের অধিকার সুরক্ষিত করা, ছাদবিহীন প্রত্যেক নাগরিকের নাম আবাস যোজনায় তালিকাভুক্ত করা, নারীদের সুরক্ষা ও ন্যায়বিচার, পরিযায়ী শ্রমিকদের সুরক্ষা, জীবনদায়ী ওষুধ সহ সমস্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি রোধ করার মতো দাবিকে সামনে রেখে এই কর্মসূচি পালিত হয়। 
বোরুইয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা সম্পাদক জমিল ফিরদৌস, নাজিমুদ্দিন আহমেদ, প্রণব দাস সহ নেতৃবৃন্দ।