পাকিস্তানকে ভারতের মতোই গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কেবল তা-ই নয়, আমেরিকার সামরিক বাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিলা বলেছেন যে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় পাকিস্তান বিশ্বাসযোগ্য সঙ্গী। 
কুরিলা বলেছেন, ‘‘পাকিস্তানের সামরিক শাসকরা আমেরিকা চাইলেই সন্ত্রাসবাদীদের হাতে তুলে দেয়।’’
আমেরিকার সঙ্গে ভারত বাণিজ্য সমঝোতা নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা চালাচ্ছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গী হওয়ার জন্য মরিয়া নরেন্দ্র মোদী প্রশাসন। কিন্তু পহেলগাম সন্ত্রাস পর্ব থেকে স্পষ্ট হয়েছে যে পাকিস্তানের প্রশ্নে ভারতের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আমেরিকা। 
বুধবারই ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর বলেছেন, ভারত এবং পাকিস্তানের সংঘাতের কারণ সন্ত্রাসবাদ। পাকিস্তানকে সমর্থনের ফল ভয়ঙ্কর হতে পারে। সন্ত্রাসবাদ তাদেরই ক্ষতি করতে পারে যারা পাকিস্তানকে সমর্থন দিচ্ছে। তিনি বলেন, ওসামা বিন লাদেনকে পাকিস্তানের শহরে পাওয়া গিয়েছিল। 
বুধবার মার্কিন কংগ্রেসের একটি উপসমিতিতে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত বিষয়ে বক্তব্য জানান কুরিলা। সেখানেই তিনি বলেন যে পাকিস্তানের সেনা প্রধান আসিফ মুনির একাধিক সন্ত্রাসবাদীকে আমেরিকার হাতে তুলে দিয়েছে।
পহেলগামে সন্ত্রাসের প্রায় দু’মাস পরও মূল অভিযুক্তদের কাউকে ধরতে পারেনি ভারত। এমনকি তারা কোথায় সে সম্পর্কেও স্পষ্ট বার্তা নেই। ট্রাম্প নিজেই বলেছিলেন যে তাঁর বাণিজ্য বন্ধের হুঁশিয়ারিতে সামরিক সংঘর্ষ বন্ধ করেছে ভারত এবং পাকিস্তান। ভারত সে কথার প্রতিবাদও করেনি। কিন্তু মার্কিন অনুগামী বিদেশনীতি ভারতকে আদৌ যে সুবিধাজনক জায়গায় দাঁড় করাতে পারছে না, স্পষ্ট হয়েছে সামরিক আধিকারিকের এমন মন্তব্যে।
কুরিলা পরিষ্কার বলেছেন যে ভারত এবং পাকিস্তান দু’দেশের সঙ্গেই সম্পর্ক রেখেছে আমেরিকা। একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে গেলে অন্যজনের সঙ্গে সম্পর্কহানি ঘটাতে হবে এমন মনে করার কোনও কারণ নেই।